‘শমসের-তৈমূরকে বেইমান বলছেন নিজ দলের প্রার্থীরা’
বিবিসি বাংলা
বেইমানি করেছেন শমসের-তৈমূর – তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীদের এই অভিযোগ নিয়ে শিরোনাম দৈনিক সমকালের। বিস্তারিত বলা হয়, তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মোবিন চৌধুরী ও মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দার বেইমানি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ৬০ জন প্রার্থী।
তারা নির্বাচনী মাঠে নামিয়ে এখন যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। চেয়ারপারসন ও মহাসচিব অন্য একটি দলের সঙ্গে আতাত করে আমাদেরকে কোণঠাসা করে রেখেছে, যাতে আমরা নির্বাচন করতে না পারি। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক আলোচনায় ৬০ প্রার্থীর পক্ষে এ অভিযোগ করা হয়।
এ সময় তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন ও মহাসচিব সাক্ষাৎ করে পরিস্থিতি সমাধান না করলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরণ অনশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন এমপি প্রার্থীরা। এমনকি তারা তৃণমূল বিএনপির এমপি প্রার্থীরা শমসের মবিন ও তৈমুর আলমকে বহিষ্কার করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
খবরটি নিয়ে কালবেলার শিরোনাম - নিজেদের ৬০ প্রার্থী 'বেইমান' বললেন শমসের-তৈমুরকে। তারা লিখেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৬০ প্রার্থী দলটির চেয়ারপারসন ও মহাসচিবের বিরুদ্ধে যোগাযোগ বন্ধের অভিযোগ তুলেছেন। দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারকে ‘জাতীয় বেইমান’ আখ্যা দিয়ে আরও নানান অভিযোগ করেন তারা।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৩৭ প্রার্থী। তবে তৃণমূল বিএনপির পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
রাজনীতির অধিকার নেই বিএনপির – বরিশালে জনসভায় শেখ হাসিনার এমন বক্তব্য দিয়ে শিরোনাম করেছে দেশ রুপান্তর।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি হচ্ছে একটি সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসী দলের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। কারণ তারা মানুষ পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে। তাদের রাজনীতি মানুষ চায় না। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বরিশাল নগরীর ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
35 hurt in clash at AL rally venue – অর্থাৎ আওয়ামী লীগের সমাবেশ স্থলে সংঘর্ষে ৩৫জন আহত। ডেইলি স্টারের খবরে বলা হচ্ছে বরিশালে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ঘটেছে।
বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে প্রবেশের ঠিক ১৫ মিনিট আগে দুপুর পৌনে তিনটার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথের অনুসারী ও নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন বাতিল হওয়া শাম্মী আহমেদের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া ব্যক্তিটি স্থানীয় কৃষক লীগের নেতা ছিলেন বলে জানা যায়।
সহিংসতার প্রশ্নে উদ্বেগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের – দৈনিক যুগান্তরের শিরোনাম। বলা হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে।
নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা। শুক্রবার রাজধানীতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইন্সটিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট (এনডিআই) এক বৈঠকে এ উদ্বেগের কথা জানায়।
ভোটের পরিবেশ রক্ষায় প্রস্তুত র্যাবের হেলিকপ্টার ও ডগ স্কোয়াড – দৈনিক সংবাদের খবরে বলা হয় সারাদেশে বিজিবি, র্যাব ও কোস্টগার্ড মোতায়েন। গতকাল বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে স্থানীয় বেসামরকি প্রশাসনকে সহায়তার জন্য বিজিবি নামানো হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশে ১ হাজার ১৫১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ১০ই জানুয়ারি পর্যন্ত বিজিবি ছাড়াও র্যাব ফোর্সেস মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সব নির্বাচনি এলাকার দায়িত্ব পালন করবে।
Another BNP leader dies in jail custody – ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের শিরোনাম। বলা হয় গত ২৮শে অক্টোবর থেকে এ নিয়ে ৮ জনের জেল হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো। সর্বশেষ নিহতের নাম ফজলুর রহমান কাজল, ঢাকার মুগদা থানা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন তিনি।
পুলিশ বলছে বৃহস্পতিবার সকালে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৭০ বছর বয়সী ফজলুর রহমান, এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সকাল ১১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তার। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শুক্রবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন যে পুলিশের নির্যাতনে এই শ্রমিক দলের নেতার মৃত্যু ঘটেছে।
দেশে ঠকাচ্ছে দালাল, বিদেশে নিয়োগকারী – জাতীয় প্রবাসী দিবস ঘিরে সকালের প্রধান শিরোনাম এটি।
বলা হচ্ছে চাকরি নিশ্চিত হলে বিদেশে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেয় সরকার। কত টাকা ব্যয়ে, বিদেশের কোন প্রতিষ্ঠানে, কত বেতনে, কী কী সুবিধা ও শর্তে বাংলাদেশি কর্মী চাকরি করতে যাচ্ছেন– প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ অনুমতিতে তা লেখা থাকে স্পষ্ট করে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, নির্ধারিত ব্যয়ের কয়েক গুণ বেশি টাকা খরচ করে বিদেশ গিয়ে কর্মীরা চাকরি পাচ্ছেন না। বিদেশে পাঠানো রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মীকে বিমানে উঠিয়েই আর দায়িত্ব নিচ্ছে না। প্রবাসে মানবেতর জীবনযাপন করে তাঁকে দেশে ফিরতে হচ্ছে শূন্য হাতে।
সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ের কয়েক গুণ বেশি টাকা নিয়ে ভালো চাকরি ও বেতনের প্রলোভনে বিদেশে পাঠিয়ে এই কর্মীদের দেশে ঠকাচ্ছে দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্সি।
গ্যাসের তীব্র সংকট - দৈনিক কালবেলার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয় শীত এলেই দেশে তীব্র হয় গ্যাস সংকট, বিশেষ করে আবাসিক গ্রাহকরা এ সময় চরম দুর্ভোগে পড়েন। এবার এমন পরিস্থিতি শুধু আবাসিকে সীমাবদ্ধ নেই। সরবরাহ কমে যাওয়ায় শিল্প খাতেও চলছে চরম বিড়ম্বনা।
দেশে উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি ডলার সংকটে এলএনজি আমদানি করতে না পারা এবং আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এবার দেশে গ্যাসের সংকট প্রকট রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। উদ্যোক্তারা জানান, গ্যাস সংকটের কারণে অনেক এলাকায় শিল্পকারখানার উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। পেট্রোবাংলা জানিয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দুই মাসের মতো সময় লাগবে।
বিদ্যুতে সরকারের সবচেয়ে বড় বোঝা এখন আইপিপি – বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। ক্রমাগত লোকসান ও অর্থ সংকটে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। পরিশোধ করতে পারছে না বেসরকারি উৎপাদনকারীদের (আইপিপি) কাছ থেকে কেনা বিদ্যুতের দাম।
সরকার এতদিন ভর্তুকি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিলেও এখন সেটিরও যোগান দেয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে আইপিপিগুলোর কাছে বিপিডিবির দেনা ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় সরকার পরিকল্পনা করছে ভর্তুকির অর্থ নগদে পরিশোধ না করে স্পেশাল ট্রেজারি বন্ডে রূপ দেয়ার। আইপিপিগুলোর কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনছে বিপিডিবি। আবার এ দামও ক্রমেই বাড়ছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ পরিদপ্তর) শামীম হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিপিডিবির সবচেয়ে বড় সংকট এখন বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর বকেয়া কীভাবে পরিশোধ করা যায়। এরই মধ্যে আইপিপিগুলোর আর্থিক জটিলতা কমাতে বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি একদমই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এর বাইরে বিদ্যুৎ বিভাগও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। সমাধানের একটা পথ বের হবে।’