'দাপুটে নেতা, তবু ভোটে নেই ৫৩ এমপি'
বিবিসি বাংলা
দাপুটে নেতা, তবু ভোটে নেই ৫৩ এমপি- এটি দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। এতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫৩ জন দাপুটে নেতা এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। এই এমপিদের ভাষ্য, ‘দলের নির্দেশেই’ তারা এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
এই নেতাদের ৪৮ জন আওয়ামী লীগের, ৩ জন জাতীয় পার্টির এবং ২ জন শরিক দলের। তাদের কেউ কেউ টানা তিনবারের এমপি এবং অধিকাংশই গত নির্বাচনে ৭০ থেকে ৯৬ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পেয়ে সংসদে পা রাখেন।
বিপুল জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেওয়া এই এমপিরা দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের গুরুতর অভিযোগে জনপ্রিয়তা হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ারও সাহস দেখাননি বলে আলোচনা রয়েছে। যদিও মনোনয়ন না পাওয়া এই এমপিদের দাবি, দলের সিদ্ধান্তের প্রতি ‘আনুগত্য’ দেখিয়ে তারা প্রার্থী হননি।
বিএনপি’র মতো বড় দল আগামী সাতই জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। তাই এবার শুরু থেকেই নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে দলের নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উৎসাহ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ এবং সেই ধারাবাহিকতায় অনেক বর্ষীয়ান নেতাকে মনোনয়নও দেয় নি দলটি।
এ প্রসঙ্গে খবরটিতে বলা হয়, একাদশ সংসদের ৭৮ দলীয় এমপিকে এবার মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। তাদের সাতজন নৌকা পেয়েও হারান সমঝোতার কারণে। ফলে তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল না। ছয় বর্তমান এমপির আসনে তাদের সন্তান কিংবা পরিবারের সদস্যরা মনোনয়ন পেয়েছেন। এ হিসাবে মনোনয়ন না পাওয়া এমপির প্রকৃত সংখ্যা ৬৫।
শ্রম আইনে নোবেলজয়ী ইউনূসের সাজা - এটি দৈনিক সংবাদ পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। আজ এটি দেশের প্রায় সব পত্রিকারই প্রথম পাতার খবর।
খবরটির মূল বিষয় হলো, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারকাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় সোমবার বছরের প্রথম দিনে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেইসাথে, প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
এ প্রতিবেদনটিতে লেখা হয়, গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে ঠকানোর অভিযোগে শ্রম আইনে এই মামলা হয়েছিল। ইউনূসের পাশাপাশি গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহানও সাজা পেয়েছেন।
সোমবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এই রায় দেন। ৮৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক বলেছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ‘প্রমাণিত হয়েছে’।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলে, “আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এক নম্বর আসামির (মুহাম্মদ ইউনূস) বিষয়ে প্রশংসাসূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেলজয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলা হয়েছে। কিন্তু এ আদালতে তার বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচার হচ্ছে।”
তবে রায়ে সাজা হলেও আসামিদের আপাতত জেলে যেতে হয়নি। আপিলের শর্তে সাজাপ্রাপ্তদের এক মাসের জামিন দিয়েছে আদালত।
এই রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ইউনূস বলেন, “দোষ না করেও এই দিনে আমরা শাস্তি পেলাম। সেটা আশা করিনি। এই দুঃখটা রয়ে গেল। আনন্দের দিনে (ইংরেজি বছরের প্রথম দিন) এই আঘাতটা পেলাম। আমাদের কপালে ছিল আর কি। আমরা সেটা গ্রহণ করলাম। তবে শেষ পর্যন্ত বিচার পাব।”
একজনের জন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না - এটি বণিক বার্তার প্রথম পাতার খবর। এতে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারাদণ্ডের রায় ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
রায় ঘোষণার পর রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, “একজনের কারণে রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্কে প্রভাব না পড়াটাই স্বাভাবিক। এটি আমাদের একটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়েছে, উনারও (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) আপিল করার সুযোগ আছে।”
এ রায়ের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “একজনের কারণে রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্কে প্রভাব না পড়াটাই স্বাভাবিক। এটি আমাদের একটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়েছে, উনারও আপিল করার সুযোগ আছে। এটি একটি চলমান আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছে। সুতরাং এটা নিয়ে আমি আর মন্তব্য করতে চাই না।”
ডেইলি স্টার
নির্বাচন বন্ধের সাহস তাদের নেই - এই খবরটি দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বন্ধের সাহস বিএনপি-জামায়াতের নেই।
সোমবার ঢাকার কলাবাগান মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা মানুষের ভোটাধিকার অর্জন করেছি। সেই অধিকার কেড়ে নেবে? নির্বাচন বন্ধ করবে? এত সাহস তাদের নেই। তারা পারবে না। প্রত্যেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে তার জবাব দেবেন।”
এই জনসভায় দেওয়া বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি ঢাকার ১৫টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন।
আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “ভোট চুরি করতে পারবে না বলেই বিএনপি ভোট বর্জন করছে। বর্জন করাটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ তারা তো ভোট চুরি করে অভ্যস্ত। চুরি করা ভোট দিয়েই তো তাদের (বিএনপির) সৃষ্টি। এ ছাড়া আর কিছু পারে না। সেজন্য ইলেকশন করতে চায় না। তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়।”
“আপনার ভোট আপনি দেবেন। ভোট রক্ষা করবেন। কেউ যেন ঠেকাতে না পারে। আপনারা ভোট দেবেন। অগ্নিসন্ত্রাস-জঙ্গিবাদী বিএনপি-জামায়াতকে উপযুক্ত জবাব দেবেন। অগ্নিসন্ত্রাসের জবাব দেবেন,” বলে তিনি সবাইকে ভোটে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
আন্দোলন কৌশলে সতর্ক পদক্ষেপ বিএনপির- নয়া দিগন্তের প্রতিবেদন। এখানে বলা হচ্ছে, সংসদ নির্বাচন বয়কট করে হরতাল- অবরোধসহ নানা কর্মসূচি করে গেলেও বাস্তবতা বিবেচনায় ভোট ঠেকানোর কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছে না বিএনপি। বরং জনগণকে ‘একতরফা’ নির্বাচনে ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত করার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি।
খবরে বলা হয়েছে, দলটির স্থায়ী কমিটি রোববার রাতে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাত ঘণ্টার এই বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ছাড়াও সাংগঠনিক সদস্যরা ছিলেন।
বৈঠকের সূত্র থেকে এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচন হলেও ফলাফল প্রত্যাখ্যান করবে বিএনপি। আন্দোলনের অংশ হিসাবে ভোটের দিন এবং পরদিন সারাদেশে হরতাল আহবান করা হতে পারে।
নয়াদিগন্ত
কেন নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন জাপা’র প্রাথীরা- মানবজমিনের শিরোনাম। এখানে বলা হচ্ছে, জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। সমঝোতার ২৬ আসনসহ কয়েকটি আসনে দলটি মাঠে থাকলেও বাকিগুলোতে নেই প্রচার-প্রচারণা। অনেক আসন থেকে একে একে লাঙ্গলের প্রার্থীরা সরে যেতে শুরু করেছেন ।
গুঞ্জন আছে দলটির আরও অনেক প্রার্থী একযোগে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিতে পারেন।
তাদের অনেকের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মানবজমিন
বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদন নিয়ে যুগান্তরের সংবাদ খাদ্যপণ্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ৭১ শতাংশ পরিবারে উদ্বেগ।
বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে, একই সঙ্গে বেড়েছে খাদ্যের মজুতও। তার পরও দেশে অন্য বছরের তুলনায় এবার খাদ্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েছে।
খাদ্যপণ্যের এমন ঊর্ধ্বগতিতে দেশের ৭১ শতাংশ পরিবারই উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে।
সোমবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘ফুড সিকিউরিটি আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে বৈশ্বিক খাদ্য পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমতে থাকলেও বাংলাদেশে এ হার কমেনি। বরং বেড়েছে।