'বিএনপির ৭ জানুয়ারি ছক'
বিবিসি বাংলা
ভোটের দিন বিএনপির প্রস্তুতি নিয়ে দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘বিএনপির ৭ জানুয়ারি ছক’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচন ভোটারবিহীন প্রমাণ করতে নির্বাচনের দিনও কর্মসূচি দেয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি, জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো।
ভোটের দিন হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়ার কথা ভাবছেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।
তবে দলটির নেতারা জানিয়েছেন, তারা ভোটের দিন তারা এমন কোনো কর্মসূচি দেবেন না, যাতে আওয়ামী লীগের নিজ দলের প্রার্থীরা নিজেরা নিজেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে কোনো ঘটনা ঘটিয়ে তার দায় বিরোধীদের ওপর চাপাতে পারে।
নির্বাচনের দিনই আন্দোলন শেষ হয়ে যাবে না। আন্দোলন চলমান থাকবে বলে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
বিএনপির একাধিক নেতা জানান, নির্বাচনের দিন জনগণ যাতে ভোটকেন্দ্রে না যায়, ভোট বর্জন করে, সেটা ফলপ্রসূ করার জন্য বিএনপি ও সমমনা দলগুলো লিফলেট বিতরণ করছে। জনমত গঠন করছে।
এ ছাড়া যেহেতু নির্বাচনের দিন কৌশলগত কারণে সভা-সমাবেশের কর্মসূচি দেওয়া যাবে না, তাই হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচির কথা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
নির্বাচনকে ঘিরে জাতীয় পার্টির অবস্থানকে ঘিরে সমকালের প্রথম পাতার খবর ‘‘ভোটের টাকা না পেয়ে সরে পড়ছেন জাপার প্রার্থীরা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া ২৬ আসনের বাইরে থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঠ থেকে একে একে সরে যাচ্ছেন ।
খবরে বলা হয়েছে, প্রার্থীদের ভাষ্য, দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচন বর্জনের পক্ষে মত দিলেও ‘বিশেষ জায়গা থেকে তহবিল’ পেয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জাপা।
‘বি ক্যাটেগরি’ আসনের প্রত্যেক প্রার্থীকে ৩০ লাখ এবং ‘সি ক্যাটেগরি’ আসনের প্রার্থীদের ২০ লাখ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু শীর্ষ নেতারা ওই টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছেন।
জাপা সূত্রের খবর দিয়ে এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সেই টাকা পাওয়া যায়নি। সে কারণেই প্রার্থীদের সহায়তা করা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন দিনে ১৩টি আসনের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে সরে গেছেন।
নির্বাচনের মাঠে নামিয়ে খবর নিচ্ছে না দল। নির্বাচন খরচসহ যেসব সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল, তা দিচ্ছে না।
এই অবস্থায় দুই শতাধিক আসনে দলটির প্রার্থীরা ভোটের লড়াইয়ে নেই। গতকাল তাদের অভিযোগ, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর খোঁজ পাচ্ছেন না।
নয়া দিগন্ত
নির্বাচনকে ঘিরে সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর, ‘নির্বাচনী সহিংসতা বেড়েই চলেছে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে সহিংসতার মাত্রা ততই বাড়ছে।
যেমন: বরিশাল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মোটরসাইকেল বহরে গুলিবর্ষণ, হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এতে ৩০ থেকে ৩৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে খবরে বলা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নৌকা প্রতীকের কার্যালয়ে ঈগল প্রতীকের কর্মীরা ঢুকে এক কর্মীকে মারধরের ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা হয়েছে। এতে ঈগল প্রতীকের সমন্বয়কসহ উভয়পক্ষের ১৯ জন আহত হয়েছে।
পটুয়াখালীর গলাচিপায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেনের দুই কর্মীকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘সাড়ে সাত লাখ পুলিশ বিজিবি আনসার মাঠে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে আজ থেকে সারা দেশে মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী। ১০ই জানুয়ারি পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবে।
এছাড়া ভোটার ও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট।
এবারের নির্বাচনে আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রায় সাড়ে সাত লাখ সদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের মধ্যে পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন,আনসার-ভিডিপির রয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীগুলো এলাকাভিত্তিক মোতায়েন হচ্ছে।
উপকূলীয় দুটি জেলা ভোলা ও বরগুনাসহ ১৯টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোয় প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে বলে জানা গিয়েছে।
দেশ রূপান্তর
নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিয়া মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য ‘রাজসিক আয়োজন’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ঢাকা আসার প্রস্তুতিতে থাকা ৮০ জন বিদেশি পর্যবেক্ষককে ‘রাজসিক আয়োজনে’ বরণ করা হবে।
তাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ের একটি পাঁচ তারকা হোটেল।
সেখানে তাদের থাকা-খাওয়ার সমুদয় ব্যয় মেটানো হবে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে।
শুধু তা-ই নয়, আমন্ত্রিত বিদেশি পর্যবেক্ষকদের যাতায়াত পথের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে কয়েক স্তরে দায়িত্ব পালন করবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পর্যবেক্ষকের সামাজিক মর্যাদা এবং অবস্থান বিবেচনায় তাদের চলাচলে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে গঠিত প্রটেকশন টিম।
এ ছাড়া সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করবেন নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের গাইড হিসেবে থাকছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একদল স্মার্ট তরুণ-তরুণী।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মতে পুরো বিষয়টি সমন্বয় করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষক সহায়তা সেল’।
নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূসের কারাদণ্ড নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার সম্পাদকের একটি মতামত ছাপানো হয়েছে। যার শিরোনাম ‘Yunus the ‘guilty’, let facts speak’ অর্থাৎ ‘ইউনূস 'দোষী', তথ্য প্রমাণকে বলতে দিন’
ওই লেখায় বলা হয়, গত ১৫ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনদের অধীনে অধ্যাপক ইউনূস অভিযুক্ত, বিচার মুখোমুখী এবং দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
প্রথমত, তাকে "গরিবের রক্তচোষা", "সুদখোর" হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। এরপর যখন বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর জন্য ঋণ স্থগিত করে, তখন তাকেই অভিযুক্ত করা হয় যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এটি আটকে দিয়েছিলেন।
তারপরে তাকে বারবার কর ফাঁকিদাতা বলা হয়েছে। যদিও ওই অভিযোগের স্পষ্ট কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
তবুও, বছরের পর বছর ধরে অবিরাম অপমান অব্যাহত রয়েছে।
সেখানে বলা হচ্ছে, কে এই অধ্যাপক ইউনূস, যাকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ছয় মাসের জেল ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা পেতে হয়েছে?
তিনি সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত, সবচেয়ে সম্মানিত এবং সর্বাধিক স্বীকৃত নামের মধ্যে একজন।
কালের কণ্ঠ
সিলেটের গ্যাস ক্ষেত্র নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘নির্ধারিত গভীরতায় যায়নি সিনোপ্যাক, গ্যাস অপচয়’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সিলেট-১০ নম্বর কূপে গ্যাসের উচ্চচাপের কারণে নির্ধারিত গভীরতা পর্যন্ত কূপ খনন করেনি চীনা কোম্পানি সিনোপ্যাক।
জ্বালানি খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী নিচের স্তরের গ্যাস আগে তুলতে হয়। পরে ধীরে ধীরে ওপরের স্তরের গ্যাস উত্তোলন করতে হয়।
কিন্তু সিনোপ্যাক নির্ধারিত গভীরতায় যেতে না পারায় নিচের স্তরের গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না।
এতে কূপটির নিচের স্তরের বিপুল পরিমাণ গ্যাস হারাতে পারে বাংলাদেশ।
চুক্তি অনুযায়ী কূপটি তিন হাজার ৩০০ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করার কথা।
আর জিওলজিক্যাল টেকনিক্যাল অর্ডার (জিটিও) অনুযায়ী কূপটি তিন হাজার ৫০০ মিটার গভীরে যাওয়ার কথা।
কিন্তু সিনোপ্যাক দুই হাজার ৫৭৬ মিটার পর্যন্ত খনন করেছে। প্রকল্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা তিন হাজার ৩০০ মিটার পর্যন্ত যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই কূপ খননের কাজ শুরু করেন।
কিন্তু গ্যাসের উচ্চচাপের কারণে নির্ধারিত গভীরতা পর্যন্ত খনন করতে পারেননি।