Main Logo
আপডেট : ১০ জানুয়ারী, ২০২৪ ১১:০৪

‘বাদ পড়েছেন অনেকে, আসছে নতুন মুখ’

বিবিসি বাংলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
‘বাদ পড়েছেন অনেকে, আসছে নতুন মুখ’

বণিক বার্তার শিরোনাম, ‘বাদ পড়েছেন অনেকে, আসছে নতুন মুখ’। এই খবরটিতে বলা হয়েছে, আগামীকাল সন্ধ্যা সাতটায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদেরকে শপথ পাঠ করাবেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন গতকাল সাংবাদিকদের এ কথা জানালেও নতুন মন্ত্রিসভার আকার কেমন হবে কিংবা এই মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানান নি।

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার বরাত দিয়ে এই খবরে বলা হচ্ছে, নতুন মন্ত্রিসভায় কারা আসছেন তা প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করবেন। এতে নির্বাচিত এমপিদের বাইরে অনির্বাচিত বা টেকনোক্র্যাটরাও স্থান পেতে পারেন। তবে মন্ত্রিসভায় মোট সদস্যের এক-দশমাংশের বেশি টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী রাখার সুযোগ নেই।

বর্তমান মন্ত্রিসভার তিন প্রতিমন্ত্রী এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি। আবার নৌকার টিকিট নিয়েও জয় পাননি আরো তিন প্রতিমন্ত্রী। এক্ষেত্রে তাদের দপ্তরে নতুন মুখ দেখার সম্ভাবনা আছে। আবার গত মন্ত্রিসভার বিভিন্ন সময়ে আলোচিত-সমালোচিত কয়েক সদস্য এবারের কেবিনেটে ঠাঁই নাও পেতে পারেন।

সমকাল পত্রিকার শেষের পাতার শিরোনাম, আঁতাতেও ফল আসেনি, জনপ্রিয়তায় ছিল ঘাটতি। এতে বলা হয়েছে, বহুল আলোচিত ‘কিংস পার্টি’র ভরাডুবি ঘটেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।

বিরোধী দল হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ‘তৃণমূল বিএনপি’ ও ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম’-এর কেউই জিততে পারেননি। এমনকি হেভিওয়েট নেতা হিসেবে পরিচিত ছয় নেতা সবাই জামানত খুইয়েছেন। নিজেদের জনপ্রিয়তা না থাকায় কোনো প্রভাবই বিস্তার করতে পারেননি তারা।

এমনকি সরকারি দলের সঙ্গে ‘আঁতাত’ করেও কাজ হয়নি। নির্বাচনের মাঠ থেকে শুধু খালি হাতে নয়; লজ্জাজনকভাবে ফিরতে হয়েছে তাদের।

খবরটিতে বলা হয়, সারাদেশে দুই দলের ১৮৭ প্রার্থীর মধ্যে মাত্র একজনের জামানত রক্ষা পেয়েছে। তাও আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে কক্সবাজার-২ আসনে বিএনএম প্রার্থী ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন। এখানে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মী তাঁকে বেছে নেয়।

নিউ এইজ পত্রিকার শিরোনাম, US, UK find elections not fair. অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বলছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।

এই খবরটিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য আলাদা বিবৃতিতে বলেছে, গত সাতই জানুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, “বাংলাদেশের এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি বলে অন্য পর্যবেক্ষকদের প্রতিক্রিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্র একমত। একই সাথে সবগুলো দল এতে অংশ না নেওয়ায় আমরা হতাশ।”

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করেছে যে, সাতই জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী রাজনৈতিক দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং নির্বাচনে অনিয়মের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

আলাদা বিবৃতি যুক্তরাজ্যও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে সমকাল পত্রিকার শিরোনাম, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়। এতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে জনগণ ভোট দিয়েছে এটাই যথেষ্ট। এ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মন্তব্যের বিষয়ে সরকার চিন্তিত নয়।

মঙ্গলবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিদেশি কূটনীতিক-পর্যবেক্ষকদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য) বলেছে যে, নির্বাচনের আগে কিছু সংঘাত হয়েছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের যে সম্পর্ক আছে, সেটা বলবত রাখবে। তবে তারা মানবাধিকারের যে বিষয়টির কথা বলেছে, সেটা ডায়নামিক ইস্যু। এগুলোর কোনো শেষ নেই। সরকার এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে।

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে কোনো কারিগরি ত্রুটি ছিল কিনা, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা তা দেখেছেন। বাংলাদেশের বহু নির্বাচন দেখেছি। আমার মনে হয়, এবারের নির্বাচন আদর্শ নির্বাচন।

মানবজমিন পত্রিকার শিরোনাম, ‘ফাঁকা মাঠে’ ভোট বেশি। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের দেয়া পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা আসনগুলোতে ভোটের পরিমাণ বেশি পড়েছে।

এছাড়া ভোটের হার বেশি থাকা এসব আসনে পরাজিত প্রায় সকল প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। অন্যদিকে তুমুল লড়াই হওয়া আসনগুলোতে ভোটের হার কম। যদিও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের কারণে এসব আসনেই ভোটার উপস্থিতি বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

সিরাজগঞ্জ-১ আসনে অস্বাভাবিক ভোট পড়েছে। আসনটিতে ভোট পড়ার হার ৭২ দশমিক ৩২ শতাংশ। একই অবস্থা মাদারীপুর-১ আসনেও। এই আসনে ভোট পড়ে ৬৬ দশমিক ৮০ শতাংশ হয়েছে। বাগেরহাটের দু’টি জেলাতেও ভোট বেশি পড়েছে।

তিন পার্বত্য জেলায় ভোটের হার অস্বাভাবিক দেখা গেছে। শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা এই আসনগুলোতে ভোটের দিন কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কম দেখা গেলেও বান্দরবানে ৬৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ, রাঙ্গামাটিতে ৫৯ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং খাগড়াছড়িতে ৪৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।

নয়া দিগন্ত পত্রিকার শিরোনাম, রাজনীতিতে টিকে থাকতে প্রভুদের পরামর্শে কাজ হবে না : প্রধানমন্ত্রী। এই খবরটিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশি প্রভুদের পরামর্শ মেনে চললে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে কেউ টিকে থাকতে পারবে না।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি জাতীয় নির্বাচন (৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত) বানচাল করতে নেমেছিল। তাদের কিছু (বিদেশি) প্রভু আছে। তারা বাংলাদেশের জনগণকে চেনে না। প্রভুদের পরামর্শে বাংলাদেশে টিকে থাকা সম্ভব হবে না।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমাদের কোনো (বিদেশি) প্রভু নেই। বাংলাদেশের জনগণই আমাদের প্রভু ও শক্তি। জনগণের বিশ্বাস ও আস্থাই আমাদের শক্তি।’

যুগান্তর পত্রিকার শিরোনাম, মির্জা ফখরুলকে ৯ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এতে বলা হয়েছে, রমনা মডেল ও পল্টন থানার পৃথক ৯ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এসব মামলায় জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুলের পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আরও নয়টি মামলা রয়েছে। সেই ৯টি মামলায় আজ তাকে গ্রেফতার দেখানো হলো।

গত ২৯ অক্টোবর নিজ বাসা থেকে ফখরুলকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে এসব মামলায় জামিনের আবেদন করা হলে আদালত নামঞ্জুর করেছিলেন। আদালত বাকি নয়টি মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করতে বলার পর আইনজীবীরা আবেদন করেন। এরপর আদালত গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়ে বুধবার জামিনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন।

উপরে