ভয়ংকর ঘটনা
বিশ্বিবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে পাশবিক কায়দায় নির্যাতন
বহুল আলোচিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান হিমেলকে অপহরণের পর পাশবিক কায়দায় নির্যাতন ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় অপহৃত ভিকটিম হিমেলকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে উদ্ধার; অপহরণ চক্রের মূলহোতা মালেক সহ ৫ জনকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও ওয়াকিটকিসহ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, গত ২৬ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ০৯৩০ ঘটিকায় রাজধানীর উত্তরা এলাকায় বসবাসকারী কাজী হাসিবুর রহমান @হিমেল নামক একজন বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত প্রয়োজনে শেরপুর যাওয়ার পথিমধ্যে অপহরণের শিকার হন। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার একাধিকবার ভিকটিমের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ফোন করলে মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পায় এবং দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ করতে না পাড়ায় ভিকটিমের মা রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় নিখোঁজ সংক্রান্তে একটি সাধারণ ডায়রী করেন; যার ডায়রী নং-২৪৪৪ তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩। গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ গাজীপুরের বাসন এলাকায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ভিকটিমের গাড়িটি উদ্ধার করে। পরবর্তীতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ভিকটিমের মায়ের হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে ভিকটিমকে অপহরণের বিষয়টি জানায় এবং ভিকটিমের পরিবারের নিকট ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করে এবং ভিকটিমকে পাশবিক কায়দায় নির্যাতনের ভিডিও ভিকটিমের পরিবারের নিকট প্রেরণ করে। এমতাবস্থায় ভিকটিমের মামা বাদী হয়ে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেন; যার মামলা নং-০৬ তারিখ ০৬ জানুয়ারি ২০২৪। ভিকটিমের মা তার ছেলেকে উদ্ধারে র্যাবের নিকটও অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অপহরণের ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে ব্যাপক আলোচিত হয়। উক্ত অপহৃত ভিকটিম’কে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১, র্যাব-৯ ও র্যাব-১৪ এর আভিযানিক দল সুনামগঞ্জের তাহিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা ও পরিকল্পনাকারী ১। মোঃ আব্দুল মালেক (৩৫), পিতাঃ আব্দুল খালেক, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ ও তার অন্যতম সহযোগী ও পরিকল্পনাকারী ২। ড্রাইভার ছামিদুল ইসলাম (৩০), পিতাঃ মৃত আব্দুল রাজ্জাক, নকলা, শেরপুরদেরকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত রাতে অপহৃত ভিকটিম হাসিবুর রহমান @হিমেলকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থেকে উদ্ধার করা হয় এবং ৩। রনি নাবাল (৪১), পিতাঃ প্রভাষ রাকসাম, নালিতাবাড়ি, শেরপুরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত রাতে রাজধানীর উত্তরা হতে ৪। মোঃ রাসেল মিয়া (৩৪), পিতাঃ বাহার মিয়া, তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ, ও ৫। মোঃ বিল্লাল হোসেন (২৪), পিতাঃ আব্দুস সামাদ, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ’দেরকে গ্রেফতার করে। অভিযানে উদ্ধার করা হয় ০১টি বিদেশি পিস্তল, ০২ রাউন্ড গুলি ও ০২টি ওয়াকিটকি সেট। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা উক্ত অপহরণের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, ভিকটিম হিমেল এর বাবা ব্যাটারী বিক্রয়ের ব্যবসা পরিচালনা করতেন। ভিকটিম হাসিবুর রহমান @হিমেল রাজধানীর উত্তরার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। ভিকটিমের বাবা ০৪ মাস পূর্বে মৃত্যুবরণ করার পর তার ছেলে ভিকটিম হিমেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তার বাবার ব্যবসা পরিচালনা করতেন। ভিকটিম হিমেল গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ সকালে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে শেরপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে তার ড্রাইভার গ্রেফতারকৃত ছামিদুলকে নিয়ে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার যোগে রওনা করেন। পরবর্তীতে ভিকটিম হিমেল গাজীপুরে সালনা এলাকায় পৌঁছালে গ্রেফতারকৃতদের দ্বারা অপহরণের শিকার হন।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায যে, অপহরণ চক্রের মূলহোতা গ্রেফতারকৃত মালেক এবং অন্যতম পরিকল্পনাকারী গ্রেফতারকৃত ছামিদুল। গ্রেফতারকৃত ছামিদুল ভিকটিম হিমেলের বাসায় ৪ বছর যাবত গাড়ি চালক হিসেবে চাকরি করায় সুস্মপর্ক তৈরি হয় এবং তাদের পারিবারিক আর্থিক ও সম্পত্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সে জানতো। গত ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে গ্রেফতারকৃত মালেকের নেতৃত্বে গ্রেফতারকৃতরা উত্তরার একটি জায়গায় সমবেত হয় এবং গ্রেফতারকৃত মালেক ও ছামিদুল হিমেলকে অপহরণ করে তার পরিবারের নিকট থেকে বিপুল অংকের মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনার বিষয়টি তাদের অন্যান্য সহযোগিদের জানায়। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গ্রেফতারকৃত ছামিদুল ভিকটিম হিমেলকে শেরপুরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাটারী বিক্রয়ের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে হিমেলকে শেরপুরে যেতে আগ্রহী করে। গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ সকাল আনুমানিক ০৯৩০ ঘটিকায় ভিকটিম শেরপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করলে গ্রেফতারকৃত ছামিদুল গ্রেফতারকৃত মালেককে বিষয়টি অবহিত করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেফতারকৃত মালেক ও অন্যান্য সহযোগীরা ৩/৪টি মোটরসাইকেল যোগে ভিকটিমের গাড়ি অনুসরন করতে থাকে এবং গাজীপুরের সালনায় এলাকায় পৌঁছালে গ্রেফতারকৃতরা মোটরসাইকেল দিয়ে ভিকটিমের গাড়িটি আটকায়। এসময় তারা ভিকটিম ও ছামিদুলকে গাড়ির পেছনে বসায় ও গ্রেফতারকৃত রনি ড্রাইভারের পাশের সিটে বসে এবং গ্রেফতারকৃত রাসেল গাড়ি চালাতে থাকে। গ্রেফতারকৃত মালেক ও অন্যান্যরা মোটরসাইকেল যোগে গাড়িটি অনুসরণ করতে থাকে। সন্ধ্যার দিকে তারা ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী এলাকা ধোবাউড়ায় পৌঁছায়। গ্রেফতারকৃত রাসেল ও বিল্লাল তাদেরকে ধোবাউড়ায় পৌঁছে দিয়ে গাড়িটি নিয়ে গাজীপুরে এসে গাড়িটি গাজীপুরের বাসন এলাকায় রাখে এবং গ্রেফতারকৃত বিল্লাল পুনরায় ময়মনসিংহ চলে যায়। গ্রেফতারকৃত রাসেল উত্তরাতে ভিকটিমের মায়ের গতিবিধি অনুসরণ করতো বলে জানা যায়। ধোবাউড়ায় ০৩ দিন অবস্থানের পর গ্রেফতারকৃত বিল্লাল ব্যতীত গ্রেফতারকৃত মালেক, ছামিদুল ও অপহরণ চক্রের অন্যান্যরা ভিকটিম হিমেলকে নিয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় চলে আসে। গ্রেফতারকৃত রনি তাহিরপুরের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা ও রাস্তাঘাট ভালভাবে চিনতো। তারা ভিকটিম হিমেলকে নিয়ে সীমান্তবর্তী পাহাড়ী এলাকায় পাহাড় পরিবর্তন করে অবস্থান করতে থাকে। এসময় তারা ভিকটিম হিমেলকে পাশবিকভাবে নির্যাতন করে এবং তার ভিডিও ধারণ করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত মালেক ভিকটিম হিমেলের মাকে একটি বিদেশি হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার থেকে ফোন করে ভিকটিমকে অপহরণের বিষয়টি জানিয়ে ভিকটিমের পরিবারের নিকট প্রথমে ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করে এবং তার ছেলেকে পাশবিক কায়দায় নির্যাতনের ভিডিও প্রেরণ করে। পর্যায়ক্রমে সে ১ কোটি তারপর ৫০ লক্ষ তারপর ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করে। গ্রেফতারকৃতরা ভিকটিমের পরিবারের নিকট থেকে মুক্তিপনের টাকা না পেলে ভিকটিমকে হাত-পা কেটে ফেলা ও হত্যার হুমকি প্রদান করে। গ্রেফতারকৃত মালেক বিভিন্ন সময় ভিকটিমের মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিম হিমেলের মা অপহরণকারীদেরকে মুক্তিপণের টাকা দিতে সম্মত হয় এবং তারা গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আসতে বলে। বিষয়টি তিনি র্যাবকেও অবহিত করে। পরবর্তীতে গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ ভিকটিম হিমেলের মা নেত্রকোনায় পৌঁছালে গ্রেফতারকৃত মালেক ও ছামিদুল তাকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আসতে বলে। তখন র্যাবের একটি আভিযানিক দল সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে তাদেরকে গ্রেফতার করতে গেলে তারা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাবের আভিযানিক দলের উপর ছুরি দিয়ে হামলা চালায়। এতে একজন কর্মকর্তাসহ দুইজন র্যাব সদস্য আহত হয়। র্যাবের আভিযানিক দল মালেক ও ছামিদুলকে গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিম হিমেলকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পাহাড়ী টিলা এলাকা থেকে উদ্ধার করে এবং অপহরণ চক্রের সদস্য রনিকে গ্রেফতার করে। এসময় অপহরণ চক্রের ০২ জন সদস্য পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত মালেকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত রাতে রাসেল ও বিল্লালকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য যে ভিকটিমকে উদ্ধারকালে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত মালেক পেশায় একজন গাড়ি চালক। সে গাড়ি চালানোর পেশার আড়ালে একটি সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্রের নেতৃত্ব প্রদান করতো। সে ধনাঢ্য পরিবারের সদস্যদের টার্গেট করে মোটা অংকের মুক্তিপন আদায় করে থাকে। মুক্তিপণ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা পৈচাশিক নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে আত্বীয়-স্বজনের নিকট পাঠিয়ে মুক্তিপন আদায় করে থাকে। গ্রেফতারকৃত মালেক এর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অপহরণ, অস্ত্র আইন, বিষ্ফোরক আইন, ডাকাতি-ছিনতাই ও খুনসহ ১৪টির অধিক মামলায় ০৮ বছরের অধিক সময় কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়। সর্বশেষ সে ময়মনসিংহের একজন অধ্যাপকের ছেলে অপহরণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ০৩ বছর কারাভোগ করে ২০২২ সালের ডিসেম্বর ছাড়া পায় বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত ছামিদুল পেশায় একজন গাড়ি চালক। সে গ্রেফতারকৃত মালেকের অন্যতম সহযোগী ছিল। দীর্ঘদিন যাবত ভিকটিমের পরিবারের গাড়ি চালনা করায় তাদের বিশ্বস্ত হয়ে উঠে এবং ব্যাংকিং বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন ও ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ সম্পর্কেও তার ভাল ধারণা ছিল। সে ভিকটিমের পিতার মৃত্যুর পর গ্রেফতারকৃত মালেকের নেতৃত্বে ভিকটিমকে অপহরণ পূর্বক মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেছিল।
গ্রেফতারকৃত রনি পেশায় একজন অটো চালক। সে গ্রেফতারকৃত মালেকের অন্যতম প্রধান সহযোগী ছিল। ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকাসমূহ তার সুপরিচিত ছিল। গ্রেফতারকৃত মালেকের নির্দেশনায় বিভিন্ন সময় অপহৃত ভিকটিমদের বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পাহাড়ী ও দুর্গম এলাকাসমূহে আটকে রাখতো এবং নির্যাতন করতো বলে জানা যায়। অস্ত্র ও ডাকাতিসহ ০২টি মামলায় ৬ বছরের অধিক সময় কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত রাসেল ও বিল্লাল পেশায় গাড়ি চালক। তারা গ্রেফতারকৃত মালেকের সহযোগী ছিল। গ্রেফতারকৃত রাসেল ময়মনসিংহ থেকে ফিরে এসে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থান করে ভিকটিম হিমেলের মা এবং তার পরিবারের সদস্যদের গতিবিধি অনুসরণ করতো। ভিকটিমের মা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট গমনের তথ্যাদি ও অন্যান্য গতিবিধি রাসেল গ্রেফতারকৃত মালেককে জানাতো। অপহরণ পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত বিল্লাল ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা এলাকায় অবস্থান করে এবং ভিকটিমের মা ভিকটিমকে উদ্ধারে নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন এলাকায় গমন করলে গ্রেফতারকৃত বিল্লাল তাকে অনুসরণ করতো এবং গতিবিধি বিষয়ক তথ্যাদি গ্রেফতারৃকত মালেককে জানাতো। গ্রেফতারকৃতরা একাধিক মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।