রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, এক শিক্ষার্থী নিহত
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে মেহেদী হাসান (১৮) নামে এক শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন। শনিবার (১৮ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
নিহত মেহেদী জামালপুর জেলা সদর এলাকার মো. হানিফ মিয়ার ছেলে। তবে বর্তমানে তিনি পরিবারের সঙ্গে ঢাকার বাড্ডার নুরের চালা পূর্বপাড়া এলাকায় থাকতেন। মেহেদী এবার এলাকার ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
নিহত মেহেদীর চাচা দাবি করে মো. আলম মোবাইলফোনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নিহতের মামা চয়ন ভাটারা এলাকার একটি ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা। শনিবার শেরে বাংলা নগর মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকায় মামার সঙ্গে সংগঠনের একটি প্রোগ্রামে যান মেহেদী। সেখানে র্যালি শেষ ফেরার পথে রাস্তা পারাপার হওয়াকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় মেহেদীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে প্রাথমিকভাবে কে বা কারা মেহেদীকে ছুরিকাঘাত করেছেন এ বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেননি চাচা পরিচয় দানকারী আলম।
নিহত মেহেদীর মামা মো. চয়ন সিকদার বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে আমরা র্যালি নিয়ে মানিক মিয়া এভিনিউতে পৌঁছাই। জাতীয় সংসদ ভবনের প্রধান গেট সংলগ্ন রাস্তা পার হওয়ার সময় লোকজন ভর্তি একটি পিকআপভ্যান আমাদের ওপর উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পিকঅ্যাপ থেকে বেশ কয়েকজন নিচে নেমে পকেট থেকে চাকু বের করে আমিসহ আরও একজনকে আঘাত করার চেষ্টা করেন। এ সময় আমার ভাগিনা মেহেদী তাদের বাধা দেওয়া চেষ্টা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেদীর বুকে ছুরিকাঘাতে করে তারা। ভাগিনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, র্যালিতে অংশ নিতে অন্য কোনো স্থান থেকে এসেছিলেন পিকআপভ্যানটিতে থাকা লোকজন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক জানান, মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকায় ছুরিকাঘাতে মেহেদী খুন হয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়গুলো নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। ঘটনাটির প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।