জন্মশহরেই শেষ শয্যা নিলেন রাইসি
৬৩ বছর বয়সী এই নেতাকে গতকাল দেশটির সর্বস্তরের মানুষ অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় জানিয়েছেন। মৃত্যুর চার দিন পর শিয়াদের মূল সমাধি ইমাম রেজার পবিত্র মাজারে রাইসিকে দাফন করা হয়। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুুল্লাহিয়ানকে তেহরানের দক্ষিণাঞ্চল শাহর-রে শহরের শাহ আবদুল আজিম মাজারে দাফন করা হয়।
গতকাল সকালে দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশের বিরজান্দে নেওয়া হয় রাইসির মৃতদেহ। দাফন উপলক্ষে মাজারের আশপাশের রাস্তাগুলো রাইসির বিশাল ছবি, কালো পতাকা ও শিয়াদের বিভিন্ন প্রতীক দিয়ে সাজানো হয়েছিল। বিকেলে জানাজায় অংশ নেয় দেশটির লাখ লাখ মানুষ। জানাজায় সিস্তান ও বেলুচেস্তান, সেমনান এবং ইয়াজদের মতো প্রদেশের মানুষও উপস্থিত ছিলেন। ইরানিরা এ সময় অশ্রুসজল চোখে ও বেদনাসিক্ত হৃদয়ে রাইসিকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় রাইসির পরিবারের সদস্যরাও জানাজায় অংশ নেন। তাছাড়া ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদিসহ দেশটির সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তারাও এতে অংশ নেন।
সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি তেহরানে অনুষ্ঠিত জানাজায় ইমামতি করেন। এ সময় উপস্থিত থাকাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, আজারবাইজানের প্রধানমন্ত্রী আলি আসাদভ, রাশিয়ান ডুমার চেয়ারম্যান ব্যাচেস্লাভ ভোলোদিন, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ, হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল নাইম কাসেম, হুতির মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল সালাম, আফগানিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল গান্দাব ব্র্যান্দার আখুন্দ, সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুসেইন আরনাস, তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট গুরবাংগুলি বেরদিমুহামেদভ, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস বিন সাইদ, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাবিহ বেরিসহ বিভিন্ন দেশের নেতা, রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রদূত এবং আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বসহ ৬৮ দেশের প্রতিনিধি এই জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
সূত্র: বিবিসি, মাহের নিউজ, প্রেস টিভি