বেনজীর, আজিজের 'দুর্নীতি' ও ভারতে এমপি খুনের ইস্যুতে নানা প্রশ্ন আর সমালোচনা
বিবিসি বাংলা
ভারতে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের পরপরই সামনে এসেছে অপরাধ জগতের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার প্রসঙ্গ। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি নিয়ে দুদকের তৎপরতার ঘটনায় চলছে তোলপাড়।
টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দলীয় সংসদ সদস্য আর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ পদে থেকে অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ক্ষমতাসীন দলের জন্য মারাত্মক 'ভাবমূর্তির সংকট' হিসেবে দেখছেন অনেকে।
কারণ যাদের বিরুদ্ধে এখন অভিযোগ উঠেছে তাদের প্রত্যেকেই যার যার জায়গায় বাংলাদেশের ক্ষমতা কাঠামোর প্রভাবশালী পদে অবস্থান করেছেন।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য খুন হওয়ার পর তার ব্যাপারে চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্ততার যে অভিযোগ আসছে তা ছিল স্থানীয় মানুষের কাছে 'ওপেন সিক্রেট
পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন শীর্ষ পদে কর্মরত থাকার সময় ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ করে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ উঠেছে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে। এসব বিষয় নিয়ে লোকমুখে আলোচনা ছিল আরো অনেক আগে থেকে।
অন্যদিকে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধেও ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন থেকে। নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভাইদের নানা সুবিধা দেবার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে। এনিয়ে কয়েক বছর আগে আন্তর্জাতিক একটি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও প্রচার হয়েছে।
অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে অপরাধ চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়টি 'ওপেন সিক্রেট' হবার পরেও একজন ব্যক্তি কীভাবে বার বার সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন? আবার রাষ্ট্রের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে যারা ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ আসছে তা সম্পাদনের সুযোগ পেল কী করে?
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন এসব ঘটনার দায় সরকার রাজনৈতিক দল এবং সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান এড়াতে পারে না।
“এখন সরকারকে দায় অবশ্যই নিতে হবে কারণ সরকারের দায় আছে। কারণ হচ্ছে যারা এই তিনটি ক্ষেত্রেই যে অপরাধের কারণে নৃশংস হত্যাকাণ্ড বাকি দু’জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়মের সার্বিক চিত্র এগুলো কিন্তু এককভাবে এই তিনজন সম্পন্ন করেননি এই অপরাধগুলো"।
"দুর্নীতি হোক, অবৈধ সম্পদের মালিকানা হোক, চোরাকারবারি হোক, স্বর্ণ পাচার হোক পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে কিন্তু অংশীজন আরো অনেকেই ছিলেন, জোগসাজসকারী অনেকেই ছিলেন, সুরক্ষাকারী অনেকেই ছিলেন,” বলেন মি. জামান।
নিজ এলাকায় তিনি তার সমর্থকদের কাছে 'জনবান্ধব নেতা' হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ঘুরে বেড়াতেন কোনো প্রটকল ছাড়াই মোটরসাইকেল নিয়ে। ভারতে গিয়ে খুন হবার পর পরই আনোয়ারুল আজীমের 'অন্ধকার জগতের' সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠতার বিষয়টি সামনে আসে।
লোকমুখে আলোচনায়ও খুনের পেছনে সন্দেহ করা হয় চোরাকারবারি চক্রকে। সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু বলেন, অতীতেও লোকমুখে এমপি আনারের ব্যাপারে লোকজন আলোচনা করতো। তবে তার জীবনযাপন ছিল সাধারণ। মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াত সব জায়গায়।
“যেদিন মৃত্যুর খবর আসলো তার পরের দিনই সমাজে দেখি কথাবার্তা হচ্ছে। মিটিংয়ে গেলাম সেখানে আবার মসজিদ থেকে বের হচ্ছি তখনও বলছে যে টুকু ভাই জানেন, বললাম কী বিষয়? বলে যে এই যে আনার খুন হলো এর পেছনে কিন্তু সোনা চোরাচালানের কেস জড়িত" ।
"এইরকম কাজে নাকি উনি জড়িত ছিলেন এইরকম কথাবার্তা মানুষ বলাবলি করতো ওইভাবে তখনতো আর বলতে পারে না তবে এক জায়গায় বসলে তার সম্পর্কে কথা উঠলে ওই ধরনের কথা হতো,” বলেন মি. রহমান।
ঝিনাইদহ চার আসনে আনোয়ারুল আজিম টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের এমপি। যদিও এসব নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
দলের কেন্দ্র থেকে তাকে মনোনয়ন দিয়ে সংসদ সদস্য করা হয়েছে এবং জেলা আওয়ামী লীগ তাকে বানিয়েছিল উপজেলার নেতা।
এখন কেন্দ্র এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা তার 'জনপ্রিয়তার' বিষয়টিকেই সামনে আনছেন। স্থানীয় নেতারা বলছেন, মৃত্যুর পর তার অতীত কিংবা অন্ধকার দিক নয়, ভালো কাজের দিকটিকেই সামনে আনা উচিৎ।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই কালীগঞ্জ উপজেলার নেতা হিসেবে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন আনোয়ারুল আজীম আনার।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর কাছে জানতে চেয়েছিলাম নিহত এমপির অন্ধকার জগত সম্পর্কে যে কানাঘুষা এবং চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগ সেটি কি সম্পুর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে?
জবাবে সাইদুল করিম বলেন, এমপি মনোনয়ন দেয় কেন্দ্র থেকে। তবে থানা পর্যায়ের নেতা নির্বাচনে জেলা কমিটি ভূমিকা রাখে।
“আমি কিন্তু আনারের সাথে যখন নেতা বানাই তখনই বলিলাম যে আনার তোমার বিরুদ্ধে মেলা লোক বলে এইসব কথা। তালি এইসব যেন না শুনি। কলে ভাই যদি আগে শুনেও থাকেন আর শোনবেন না। আমি বলিলাম তুমি নাকি এরাম ব্লাকের (চোরাকারবার) সাথে জড়িত আছো? কইলো না ভাই”।
“এই রুটটাই হলো এরকম। যে কেউ আপনার নাম একজন ব্যবহার করে ফেলে। যারা অপকর্ম করে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকের না ব্যবহার করে। তা এরম কথা কিন্তু আমার হইছিল। তা ও (আনার) বইল্লো ভাই খোঁজ নিয়েন। তা আমার কিন্তু আর এরকম কিছু আমার চোখে বাধিনি।”
এমপির পরিবার ও স্বজনদের ক্ষোভ
ভারতে খুন হওয়ার পর আনোয়ারুল আজীমের অন্ধকার জগতে সংশ্লিষ্ঠতার খবর প্রকাশ ও প্রচার নিয়ে এমপির ঘনিষ্ঠজন, রাজনৈতিক সহচর সমর্থক এবং পরিবার বেশ ক্ষুব্ধ । তাদের প্রশ্ন - এতদিন কেন এসব আলোচনায় আসেনি?
আনোয়ারুল আজীমের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ক্ষোভ প্রকাশ করে এর পেছনে বিশেষ মহলের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা সে প্রশ্ন তোলেন।
ডরিন বলেন, এরকম জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। এলাকার মানুষের কাছে শুনে দেখেন তার জীবন যাপন কতটা সাধারণ ছিল।
“এতটা সাধারণ জীবন যাপন কোনো সংসদ সদস্য করে বলে আমার মনে হয় না। আপনাকে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি যেভাবে সাধারণভাবে সে চলাচল করতো এই বিষয়ে তার জড়িত থাকার আসলে প্রশ্নই আসে না"।
"এখন বিভিন্ন রকম কথা আসছে তার ইমেজ নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে বলেও আমি মনে করি। কারণ সে তিন তিনবারের সংসদ সদস্য। কিন্তু আপনারা কি জানলে আগে কোনো নিউজ করতে পারেননি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আপনাদের কাছে এটা।”
ডরিনের ক্ষোভ মৃত্যুর পরে কেন এসব কথা উঠছে এবং কারা এগুলো প্রচার করছে?
অভিযুক্ত দুই বাহিনীর সাবেক প্রধান
ভারতে বাংলাদেশি সংসদ সদস্য খুনের পাশাপাশি দেশজুড়ে তোলপাড় হচ্ছে সাবেক দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে।
সাবেক সেনাপ্রধান সপরিবারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছেন। যদিও নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর সাবেক সেনা প্রধান তার বিরুদ্ধে করা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তবে আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের আবেদন পড়েছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনে।
আর পুলিশ ও র্যাবের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করে অবসর নেয়া বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দেশে বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের মালিকানায় থাকা সম্পদ ক্রোক এবং অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সাবেক আইজিপির দেশ-বিদেশে সম্পদ নিয়ে দেশের জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকা একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে কয়েকমাস আগে।
এরপর বেনজীর আহমেদ ভিডিও বার্তা দিয়ে সেই প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পদের বিবরণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে ব্যাখ্যা দেন। এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সম্পুর্ণ অস্বীকার করেন।
সেখানে নিজের ও তার পরিবারের নামে যেসব ব্যবসা ও সম্পদ আছে সেগুলো বৈধ এবং কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি বলেও দাবি করেছিলেন বেনজীর আহমেদ। তিনি এটিকে মহল বিশেষের 'চরিত্র হরণের চেষ্টা' বলেও অভিহিত করেন।
ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘অবসরের যাবার পর তাকে দুর্নীতিবাজ প্রমাণের অপচেষ্টা হতাশাব্যঞ্জক এবং দুঃখজনক’।
আলোচিত তিনটি ঘটনা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা হচ্ছে।
তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন অভিযুক্তদের সরকার কোনো সুরক্ষা দেবে না।
বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদলও এখন সরকারের কঠোর সমালোচনা করছে। নিয়মিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তবে এসবের দায় সরকার নিতে অনিচ্ছুক। বেনজীর আহমেদ এবং আজিজ আহমেদকে যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
মি. কাদের বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, “যদি দুর্নীতি করে তদন্ত হচ্ছে, দুর্নীতির তথ্য পেলে তদন্ত হবে এবং কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।”
ব্রিফিং করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ছবির উৎস,চ্যানেল আই
ছবির ক্যাপশান,ব্রিফিং করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
বাস্তবতা হলো এসব অনিয়ম বা অবৈধ সম্পদ অর্জন সবই ঘটেছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। সরকারের শীর্ষ পদে থেকে বড় কর্মকর্তারা কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয় বা অনিয়মের সুযোগ পায়?
এ প্রশ্ন তুলে অনেকে বলছেন, এটি সরকার ও দলের জন্য 'ভাবমূর্তি সংকটের' কারণ হতে পারে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম বিবিসিকে বলেন, এসব ঘটনায় সরকারের বিব্রত হওয়ারও কোনো কারণ নেই, আওয়ামী লীগেরও বিব্রত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
“এই ধরনের অপকর্মের সাথে যারা জড়িত যখনই এগুলো তারা করবে তখনই কেন প্রকাশিত হয় না। কেন এগুলো উদঘাটিত হয় না। সরকার সরকারের জায়গা থেকে কাজ করে। যারা সরকারকে সহযোগিতা করে, সাপোর্ট করে বিভিন্ন সংস্থাগুলো তারা এসকল ক্ষেত্রে আমি মনে করি তাদের আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করা দরকার,” বলেন মি. নাসিম।
“কারো অতীতের কর্মকাণ্ড বা বেআইনি কর্মকাণ্ডের সমর্থক হিসেবে কখনোই আমরা সমর্থন করি না। এই জায়গাটিতে আমাদের কোনো আপোস নেই। এখন ব্যক্তিগতভাবে যদি কেউ কোথাও দুর্নীতি করে বা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ে বা অনিয়ম করে তার জবাবতো তাকে দিতেই হবে।”
সরকার আলোচিত ঘটনাগুলোর দায় এড়াতে চাইলেও সরকার-বিরোধীরা এখন আনার হত্যা রহস্য, সাবেক আইজিপি এবং সেনা প্রধানের ইস্যু সামনে এনে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে যাচ্ছে। এছাড়া বিশ্লেষকরা মনে করেন এসব ঘটনায় সরকার, দল এবং প্রতিষ্ঠানের ইমেজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবির ইফতেখারুজ্জামান মনে করেন, এসবের সঙ্গে রাজনীতিরও যোগাযোগ আছে।
তিনি বলেন, সাবেক দুই প্রধানের তদন্তের ফলাফল শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায় সেটি হবে দেখার বিষয়।
"এক্ষেত্রে কিন্তু স্বপ্রণোদিতভাবেই এটা করা হচ্ছে। ইটস অ্যা গুড থিং। আমি ওয়েলকাম করছি। দুদককে প্রসংশা করছি। কিন্তু এটা কিন্তু আমি জেনারালাইজ করতে পারছি না। সকলের ক্ষেত্রে এটা করবেন তারা বা করেছেন এরকম দৃষ্টান্ত কিন্তু নেই"।
"কাজেই এখানে কি কোনো কারণ আছে বিরাগভাজন হওয়ার কারণে কোনো ব্লেসিং আসছে ইউ ক্যান গো এহেড। অথবা আরেকটি বিষয় কি এরকম হতে পারে যে এটিও একটি খেলার অংশ। আমরা দেখাচ্ছি যে আমরা অনুসন্ধান করছি, সম্পদ বাজেয়াপ্ত করছি একটা পর্যায়ে দেখা গেল যে এটা আবার চাপা পড়ে গেল,” বলেন মি. জামান।