জীবনে এই প্রথম লোহার খাঁচায় ঢুকলাম: ড. ইউনূস
আদালতের কাঠগড়ায় লোহার খাঁচায় ঢোকা অভিশপ্ত জীবনের একটি অংশ। জীবনে এই প্রথম লোহার খাঁচায় ঢুকলাম। আমাকে বিরক্ত করা হচ্ছে। আজ রোববার গ্রামীণ টেলিকমের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হয়ে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ড. ইউনুস বলেন, ‘অভিশাপের একটা বড় স্তরে পৌঁছে গেছি আমরা। যে কারণে লোহার খাঁচায় ঢুকতে হলো।’ তিনি বলেন, ‘এটা নতুন এক অভিজ্ঞতা। জীবনে এই প্রথম লোহার খাঁচায় ঢুকলাম। ভেবেছিলাম কেউ ছবি টবি তুলবে। এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কিন্তু আদালত কক্ষের ভেতরে কেউ ছবি তোলেনি।’
আদালতে সাড়ে ১০টার দিকে হাজির হন ড. ইউনুসসহ তাঁর সঙ্গী ও অন্যান্য আসামিরা। মামলা শুনানির জন্য বিচারকের সামনে নথি উপস্থাপন করার পর আদালত থেকে সবাইকে কাঠগড়ায় যেতে বলা হয়। তখন বলা হয়, ড. ইউনুস এজলাসে বসবেন। কিন্তু তিনিও অন্যদের সঙ্গে কাঠগড়ায় ঢুকে পড়েন। পরে অবশ্য আদালতের নির্দেশে সবাইকে কাঠগড়া থেকে নিচে নামিয়ে এজলাসের বেঞ্চে বসানো হয়।
গ্রামীণ ব্যাংক সম্প্রতি ড. ইউনুস ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দুদকে দায়ের করেছে সেই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। যে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে সেই বিষয়টি নিয়ে আবার অভিযোগ দায়ের করা ভিত্তিহীন।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে বিরক্ত করা হচ্ছে।’ ড. ইউনুস আরও বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, বাংলাদেশ নোবেল প্রাইজ পেয়েছে দুটি। একটি ড. ইউনুস অন্যটি গ্রামীণ ব্যাংক। একজন নোবেল বিজয়ী আর একজন নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দায়ের করেছে। পৃথিবীতে এমন কোনো নজির নেই যে একজন নোবেল বিজয়ী আর একজন নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।’
ড. ইউনুস বলেন, ‘জীবনটা যে অভিশপ্ত এটাই তার বড় প্রমাণ।’ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাকে অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। সে সম্পর্কে লিখতে। তিনি মনে করেন, তথ্য প্রমাণ সঠিকভাবে সংগ্রহ করে সেটা জাতিকে জানানোর দায়িত্ব সবার।