ধারাবাহিক উপন্যাস- পর্ব-০৫
নিশিকথা
ওমর ফারুক
কি বলবে তারিক ভেবে পাচ্ছে না। তিনি নিশির বিষযটা তাকে বলবেন , সে সাহস হলো না। তারিকও স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করেন।
না ভাবী আপনার কথা মনে পড়লো তাই ফোন করা। ভেবেছিলাম আপনি বাসায় আছেন। নাহিদের সঙ্গে একটু কথা বলা দরকার। তার ফোনটা বন্ধ পেয়ে আপনাকে ফোন করলাম।
বলেন কি, তার ফোনতো কখনো বন্ধ থাকে না। আমি দেখছি।
না না, ভাবী আপনার এই ব্যস্ত সময়ে তাকে ফোন ফোন করার দরকার নেই। আমার মনে হয় নেটওয়ার্ক প্রবলেম। যা হয়েছে না এই ফোন কোম্পানীগুলোর। ফোন খোলা থাকলেও অনেক সময় বলে ক্যাননট বি রিজড এট দিস মোমেন্ট। অথবা আপনার নাম্বারটি সঠিক নয় ইত্যাদি।
ঠিকই বলেছেন।
আমি আবার নাহিদকে ট্রাই করছি। আপনি কাজ করুন।
জ্বি ঠিক আছে। স্লামালেকুম।
ফোন কাটেন জবা আহমেদ। তার মনে সন্দেহ দানা বেঁধে উঠেছে। তারিক তো জেনে শুনেই ফােন করেছে। কিছু একটা বলতে চেয়েছিল। কিন্তু বলল না কেন? কোনো সমস্যা হয়েছে কি তার পরিবারে? কোনো সমস্যা হলেইতো এই লোকটি এগিয়ে আসেন। তাদের পরিবারের সমস্যাগুলোকে নিজের সমস্যা মনে করেন। সুসময়ে তার যোগােযাগ কম থাকলেও দুঃসময়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এমন লোক পৃথিবীতে ক'জন আছে হয়তো হিসাব করে বের করা যাবে।
অফিসে ঢােকার সময় লোকজনদের ফিসফিসানি চােখে পড়েছে তার। হায়াৎ আলী, মনিরের তাকানোটাও সুবিধের মনে হয়নি। তাদের আচরণ মনে হয়নি আর দশটা দিনের মতো। নিজে নিজে হিসাব মেলানোর চেষ্টা করছেন জবা আহমেদ। কিন্তু কি ঝামেলা হয়েছে সেটা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।
কিছু হয়েছে কি না তা জানার জন্য নাহিদ আহমেদকে ফোন করেন। কিন্তু তার ফোন ব্যস্ত। জবা আহমেদ ফোনটি বন্ধ করে বিড়বিড় করতে করতে ব্যাগের ভেতর রেখে ফাইলের দিকে নজর দেন।
চলবে...