কাতর হয়ে মার্কেটিং ম্যানেজার বললেন-
জ্বি স্যার, জ্বি স্যার।                                                                                                                                  আপনি এক্ষুনি যান। মনে রাখবেন, মেয়েটির নাম ঠিকানা আমার চাই। তাকে আমার খুব প্রয়োজন।
সিই ওর কথা  শুনে  সভায় উপস্থিত সবাই কেমন একটু নড়েচড়ে বসলেন। পার্সেস অফিসার ভাবলেন সিইও সাহেবের ঘরে সুন্দরী স্ত্রী আছে এরপরও..। সবাই হিসাব মেলানোর চেষ্টা করছেন। ছবির তরুণীকে মার্কেটিং ম্যানেজারের খুব পছন্দ হয়েছে। কিন্তু সিইওর চোখ পড়ে গেছে   দেখতে পেয়ে তিনি মনে মনে হতাশ হলেন। বিজ্ঞাপনের কোনো মডেলের সঙ্গে সাধারণত তারই সম্পর্ক গড়ে উঠে। সিইও এ নিয়ে মাথা ঘামান না। প্রথমবার তিনি এই তরুণীর প্রতি কেন আগ্রহী হয়ে উঠলেন, তা ভেবে কূল কিনারা করতে পারেন  না ।    সভা শেষ করার পর মার্কেটিং ম্যানেজারের রুমে যান পার্সেস অফিসার। তাদের আলাপের বিষয় হয়ে উঠেছিল ছবির তরুণী। পার্সেস অফিসারেরও খুব ভাল লেগেছে। বিষয়টি তিনি চেপে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সিইওর চোখ পড়ায় যেন তার আরো বেশি ভাল লেগে যায়। এই মেয়েটির সঙ্গে তিনি পরিচিত হতে চান। কিন্তু মার্কেটিং ম্যানেজার ছাড়া সেটি সম্ভব নয়। সে কারনেই তিনি মার্কেটিং ম্যানেজারের রুমে গিয়ে তরুণীর কথা তোলেন।
মার্কেটিং ম্যানেজার খুব চতুর। পার্সেল অফিসার তার রুমে এসে ছবির তরুণীকে নিয়ে কথা তুলেতেই তার মতলব বুঝে যান। তিনি এ পেশায় ১২ বছর। এর আগে দুটি বড় কোম্পানীর মার্কেটিং ম্যানেজার ছিলেন। তিনি বিজ্ঞাপনের মডেলদের নিয়ে কাজ করেন দীর্ঘদিন। কোন মডেল কেমন তা তার চেয়ে বেশি এই অফিসে আর কেউ জানে না। হিসাব নিকাশ মিল না হওয়ায় বিজ্ঞাপন থেকে কত মডেল শুটিংয়ের আগের দিন বদলে গেছে তার হিসাব নেই তার কাছে। নতুন কোম্পানীর সিইও মডেল হিসেবে ওই চিত্র নায়িকাকে পছন্দ করার কারণেই তার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল। তিনি নিজে দায়িত্ব পেলে কখনোই চিত্র নায়িকাকে নিতেন না। এর আগের কোম্পানীগুলােতে এই নায়িকাকে নিয়ে তিনি চারটি বিজ্ঞাপন করিয়েছেন। ফলে ওই চিত্র নায়িকার এহেন বিষয় নেই, যা তার অজানা।                                                                                     

চলবে...