ধারাবাহিক উপন্যাস- শেষ পর্ব
নিশিকথা
ওমর ফারুক
এতো কিছু কেন ঘটলো তার একটা হিসাব মেলাতে চেষ্টা করেন নাহিদ আহমেদ। রাতে বেলকনীর ইজি চেয়ারে বসে ভাবেন, সন্তানের জন্য চুক্তি করা হয়তো পাপ ছিল তার। জীবনে কোনো অন্যায় না করেলেও সেই পাপেই নিশিকে কষ্ট পেতে হয়েছে। বেলকনিতে বসে নাহিদ আহমেদ পাপপূন্যের হিসাব মেলাচ্ছিলেন যখন, তখনই পাশের ঘর থেকে জবা ও দিবা এক সঙ্গে ডাকেন তাকে।
ভেতরের ঘরে যাওয়ার ডাক শুনে চমকে যান নাহিদ আহমেদ। সেখানে গিয়ে দেখতে পান টিভিতে টুথপেস্টের বিজ্ঞাপনে তার মেয়েকে দেখাচ্ছে। এত সুন্দর লাগছে নিশিকে, যেন বিশ্বাস হচ্ছে না তার। গর্বে বুক ভরে ওঠে নাহিদ আহমেদের। মনে পরে তিনি চেয়েছিলেন নিশি টিভি নাটকে অভিনয় করুক। কিন্তু নিশি রাজি হয়নি। টিভিতে কাজ করার যোগ্য সে নয় বলে জানিয়েছিল বাবাকে। যে কারণে আর ওই পথে যাওয়া হয়নি তার।
প্রথম দিন টিভিতে টুথপেস্টের বিজ্ঞাপন প্রচার হওয়ার পরই পরিচিত সবাই চিনতে পারে নিশিকে। পরদিন ব্যাংকে যাওয়ার পর জবা আহমেদের কদর বেড়ে যায়। সবাই নিশির গল্প শোনার জন্য এগিয়ে আসে। গর্বে বুক ভরে যায় জবা আহমেদের। মেয়ের প্রশংসা শুনে নিজের অজান্তেই জবা আহমেদ বলে ওঠেন -
দেখতে হবে না মেয়েটা কার।
শেষ