আপডেট : ২৫ মার্চ, ২০২৪ ১১:৩৪
ঝড় ও বৃক্ষের চৈতালি
গণপতি আদিত্য
বিকেলের রঙটাকে আঁধার করে
বৃক্ষদের আহ্বানে একটি মাঝারি মাত্রার
ঝড় বয়ে গেলো জয়নুল উদ্যানে,
পাতাঝরার দিনে যে সকল অলস পাতারা
ফ্যাকাসে হলুদ হয়ে ঝুলেছিলো
জীবনের পাশে জীর্ণতা নিয়ে
শুকনো মরা ডালগুলো বিশ্রীভাবে সবুজ পাতার
গজিয়ে উঠার দৃশ্যকে ম্লান করে দিচ্ছিলো,
মানুষের একটি হাত না থাকা আর
বৃক্ষের একটি শাখা না থাকা এক নয়,
মরাডালগুলো সরাতে তাই ঝড়ের প্রয়োজন!
গাছে গাছে অল্প অল্প কচি পাতা, শাখা-প্রশাখা
যেন এক্সরে ফিল্মে স্ক্যানিং এর মতো স্পষ্ট...
এখনই বৃক্ষদের উপযুক্ত সময়
বাৎসরিক প্রসাধনের,
ঝড়ের সাথে গতিময় বৃষ্টিতে স্নাত হয়ে
পাতাসহ সকল শাখা -প্রশাখায়
সবুজ যৌবনে আজ প্রবেশ করলো
পার্কের বৃক্ষরাজি ঝড়ের পরে...
তাদের বয়স জানে কেবল
সাংবাদিক এইচ.এম মোতালেব,
যার হাতে অনেকেই চারা
বয়সে লাগানো
তিনিও আজ প্রৌঢ়তায় ভুলে গেছেন বৃক্ষদের বয়স
নিজের আর মানুষের বয়সের হিসাব রেখে ক্লান্ত,
ঝড়ের পরে শাখায় শাখায় অক্ষত খড়কুটোর পুরনো বাসাগুলো দেখে
পাখীদের প্রকৌশল বিদ্যাকে কুর্ণিশ করেন
কবি আবু সাঈদ কামাল,
পাখীদের বাসায় ডিমের মহাজন্মে
একদিন জীবনের মহোৎসবে ভোরের আড্ডায়
প্রেমের গান শুনাবেন ইটালি ভদ্র, খোকন রায়...
কবি কুড়ায় শুধু বিবর্ণ ভেজাপাতা, ভেজা খড়কুটো
রৌদ্রে শুকিয়ে উনুনের কবিতায়
জীবনধারণের ঝড় সামলাতে!