আপডেট : ১৫ জুন, ২০২৪ ১৯:১৮
কৃষ্টির মলাট
বেলায়েত হোসেন
সময়ের মাঠ জুড়ে প্রতিযোগিতার কসরত। বিবর্তনের ডাকে আলোর মিছিল। ফেলে আসা অতীত আজ আফসোসের কান্নায় নিমজ্জিত। নায়ের মাস্তুলে এখন আর বাজে না কলের গান।
তল্পিতল্পা নিয়ে বিরামহীন ছুটে চলেছে আধুনিকতার দ্রুতযান। এ বাড়ি ও বাড়ি কোথাও বাদ যায়নি। জোনাকিদের সলতেয় জ্বালানি সংকট। কপাল ঠুকে মরছে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে। ঝিঁঝিপোকারা ভুলে গেছে আদিম সুর।
কাদামাটির পিঠ বেয়ে গরুর গাড়ির চাকায় ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দেরা ভুলে গেছে আদিগন্তের পথ। রাতভর ঢেঁকির শব্দে এখন আর ঘুম ভাঙে না। হারিয়ে গেছে দাদী নানীদের পিঠার আসরে পানের বাটার দৌড়।
কৃষ্টির মলাটে এখন নিত্য নতুন প্রচ্ছদ। আট বেহারার পালকিতে চার চাকার বহর। ডুকরে কেঁদে মরে নাইওরির নৌকা। কুম্ভশালার প্রাচীর জুড়ে হতশার মুখ। কিষাণীরা এখন আর নবান্নে মাতে না। মেতে ওঠে দিন বদলের কেক কাটায়।
বিজ্ঞানের সুতোয় উড়ে নাটাই বিহীন ঘুড়ি। বাতাসের কান জুড়ে সৃষ্টির উল্লাস । শান্তির উঠোনে কুটিল পাখির ফুড়ুতফারুত আনাগোনায় অশরীরী পেতাত্মাদের দৌড়াত্ম্য বাড়ে। বিবেকের গোলায় বসে ইঁদুরের মেলা। ভর মিলে না মানবতার রুগ্ন পাখায়। জাতির একটি অংশ অসহায়ত্বের বিষাক্ত টোপ গিলে ছটফটিয়ে মরে নীরব কুটিরে। অথচ পাথরের মন গলে না। পৃথিবীটা আজ হাতের মুঠোয়। বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে অনেক তবে কেড়ে নিয়েছে অনেকের মনুষ্যত্ব।