কথিত গণতন্ত্রের নামে দটি রাজনৈতিক বলয় দেশটাকে একটা যুদ্ধক্ষেত্র বানিয়ে ফেলছে বলে অভিযোগ করেছেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ‘বাংলাদেশ পেটেন্ট বিল ২০২৩’ পাসের প্রস্তাবের পর তার ওপর আনা যাচাই-বাছাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মোকাব্বির খান এ অভিযোগ করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

মোকাব্বির খান বলেন, শিল্প খাত মুখ থুবড়ে পড়েছে, বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন। শিল্প খাতের উন্নয়ন, উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হলে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। একটা স্থিতিশীল পরিবেশ দরকার। কিন্তু গত দুদিন আমরা কী দেখলাম। আজ শুধু বিনিয়োগকারীরা নন, দেশের মানুষ নির্বাচন নিয়ে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন। মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কথিত গণতন্ত্রের নামে আজ দুটি রাজনৈতিক বলয় মুখোমুখি সাংঘর্ষিক অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। দেশটাকে একটা যুদ্ধক্ষেত্র বানিয়ে ফেলছে।

তিনি বলেন, কোনো গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক শক্তি সহিংসতা করলে তা দমন করার দায়িত্ব সরকারের, কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। কিন্তু সরকার সেটি না করে প্রতিপক্ষকে উসকানি দিচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি আরও সংঘাতময় হওয়ার আশঙ্কা করছে সাধারণ মানুষ। আজ প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা হয়েছে, পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে, হাসপাতালে হামলা হয়েছে। গতকাল বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

‘একজন পুলিশ সদস্য ও দুজন রাজনৈতিক কর্মী নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা তো আমাদেরই সন্তান, আজ তার পরিবারের অবস্থা কী? একজন সিনিয়র সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছেন, তার কী অপরাধ ছিল সরকার তার পরিবারকে কী জবাব দেবে। আমি মনে করি দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে এখনো ঐক্যের সুযোগ আছে, সমঝোতার সুযোগ রয়েছে, এজন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।