জমকালো আয়োজনে বঙ্গবন্ধু ২য় দক্ষিণ এশিয়া স্যাম্বো চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩ উদ্বোধন
জমকালো আয়োজনে বঙ্গবন্ধু ২য় দক্ষিণ এশিয়া স্যাম্বো চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩ আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর ) বিকালে রাজধানীর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ স্যাম্বো অ্যান্ড কোরাশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান । স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিএমপির কল্যাণ ও ফোর্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও সভাপতি, বাংলাদেশ স্যাম্বো ও কুরাশ অ্যাসোসিয়েশন আর এম ফয়জুর রহমান। বাংলাদেশ স্যাম্বো অ্যান্ড কু্রাশ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় ইন্টারন্যাশনাল টেকনিক্যাল অফিসার কিরগিজ রিপাবলিকের আলেকজান্ডার ল্যারিওনভ ও আর্সেন কামচিবেকভ, ইন্দোনেশিয়ার আর্নল্ড সিলালাহি ও জয়নাল আরিফিন, ডিরেক্টর জেনারেল অব স্যাম্বো ইউনিয়ন অব এশিয়া অ্যান্ড ওশেনিয়া ও হেড অব লিগ্যাল, ইন্টারন্যাশনাল স্যাম্বো ফেডারেশন সুরেশ গোপী, রিজিওনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট স্যাম্বো ইউনিয়ন অব এশিয়া অ্যান্ড ওশেনিয়া ও প্রেসিডেন্ট সাউথ এশিয়া এবং নেপাল স্যাম্বো ফেডারেশন ধনঞ্জয় শ্রেষ্ঠা, বাংলাদেশ স্যাম্বো অ্যান্ড কু্রাশ এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও ডিএমপির এডিসি (ফোর্স) মো: শরিফুল আলম এবং ডিএমপির এডিসি (কোয়াটার মাস্টার) ওবায়দুর রহমানসহ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের কর্মকর্তাগণ , খেলোয়াড়বৃন্দ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, খেলাধুলা মানুষের মনকে যেমন প্রফুল্ল রাখে তেমনি পারস্পরিক বন্ধন তৈরি করে । স্যাম্বো একটি নতুন খেলা যার মাধ্যমে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের সাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরি করতে পারবে। এ খেলায় অংশগ্রহণ করে আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনা সম্ভব। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় খেলা।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের খেলোয়াড়রা আগামীতে এই খেলার মাধ্যমে অলিম্পিকে দেশের পতাকা মেলে ধরবে এবং জয়ের মুকুট ছিনিয়ে আনবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের দেশের খেলোয়াড়দেরও বিভিন্ন খেলায় সক্ষমতা ও পারদর্শিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশের খেলোয়াড়রা দেশে-বিদেশে বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করে পদক অর্জনের পাশাপাশি দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। স্যাম্বো প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অ্যাথলেটগণ তাদের নৈপূণ্য প্রদর্শনে সক্ষম হবে।
স্বাগত বক্তব্যে আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম বলেন, স্যাম্বো রাশিয়ান মার্শাল আর্ট। ১৬ নভেম্বর ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে সোভিয়েত ইউনিয়নে স্যাম্বো খেলার আবির্ভাব হয়। IOC কর্তৃক স্বীকৃত গেমস স্যাম্বো । স্যাম্বো, এশিয়ান ইন্ডোর মার্শাল আর্ট গেমস এবং ওয়ার্ল্ড মার্শাল আর্ট অলিম্পিকে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। স্যাম্বোর আন্তর্জাতিক সংস্থা FIAS, এর প্রেসিডেন্ট ভ্যালিসি শেস্তাকভ।
এ চ্যাম্পিয়নশিপে ৫৬টি ওজন ক্যাটাগরিতে ছয়টি দেশের ১৭২ জন অ্যাথলেট অংশগ্রহণ করবেন।
প্রতিযোগিতাটি স্পোর্টস স্যাম্বো, কম্ব্যাট স্যাম্বো, জুনিয়র ও সিনিয়র, নারী ও পুরুষ মিলে মোট ৫৬টি ওজন শ্রেণিতে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সিনিয়র খেলোয়াড়দের জন্য ০৭টি ওজন ক্যাটাগরি স্পোর্টস স্যাম্বো (অ্যাডাল্ট-পুরুষ), ০৭ টি ওজন ক্যাটাগরি স্পোর্টস স্যাম্বো (অ্যাডাল্ট-নারী), ০৭টি ওজন ক্যাটাগরি কমব্যাট স্যাম্বো (অ্যাডাল্ট-পুরুষ), ০৭ টি ওজন ক্যাটাগরি কমব্যাট স্যাম্বো (অ্যাডাল্ট-নারী) এবং জুনিয়র খেলোয়াড়দের জন্য ০৭ টি ওজন ক্যাটাগরি স্পোর্টস স্যাম্বো (জুনিয়র-পুরুষ), ০৭ টি ওজন ক্যাটাগরি স্পোর্টস স্যাম্বো (জুনিয়র-নারী), ০৭ টি ওজন ক্যাটাগরি কমব্যাট স্যাম্বো (জুনিয়র-পুরুষ), ০৭ টি ওজন ক্যাটাগরি কমব্যাট স্যাম্বো (জুনিয়র-নারী) রয়েছে। সর্বোচ্চ স্বর্ণপদক প্রাপ্ত দেশ বিজয়ী হিসেবে বিবেচিত হবে।
উল্লেখ্য, প্রথম দক্ষিণ এশিয়া স্যাম্বো প্রতিযোগিতা ২০১১ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ স্যাম্বো ও কুরাশ অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে দীর্ঘ ১২ বছর পর বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় দক্ষিণ এশিয়া স্যাম্বো চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।