Main Logo
আপডেট : ৮ নভেম্বর, ২০২৩ ২২:৪৯

টাইম ম্যাগাজিনে বিভ্রান্তিকর তথ্য আছে: শাহরিয়ার আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক
টাইম ম্যাগাজিনে বিভ্রান্তিকর তথ্য আছে: শাহরিয়ার আলম

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, টাইম ম্যাগাজিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ইতিবাচক-নেতিবাচক দুটি দিকই তুলে ধরা হয়েছে।

বুধবার (৮ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

টাইম ম্যাগাজিনে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবাদ বা আপত্তি জানাবে কি না— প্রশ্ন রাখা হয় শাহরিয়ার আলমের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রীর যে গুরুত্ব বা শেখ হাসিনার স্টেটমেন্টশিপ সেখানে এত ব্যক্তিগত প্রতিবন্ধকতা। সেগুলো পার হয়ে তিনি বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়েছেন, সেটা কিন্তু টাইম ম্যাগাজিনে সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। সেইসঙ্গে তো শুধু তারা ভালো কথা বলবেন না। তারা যেসব ক্রিটিসিজমগুলো এনেছেন, এরমধ্যে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য আছে অবশ্যই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সামনের দিনে যোগাযোগ করতে পারি। কিন্তু এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত কিন্তু হয়নি। তবে কাভার স্টোরি করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে। আমি মনে করি এখানে অনকে টেইকওয়ে আছে। আমরা ইতিবাচকটাকেই দেখব।

নেতিবাচক দিক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশ ইস্যুতে বিভিন্ন দেশে যেসব মিথ্যা বা অপপ্রচার হয়েছে, তার উদাহরণ টেনে বলেন, নেতিবাচক যা হচ্ছে, আমরা তার প্রমাণও দিয়েছি। আজকাল পৃথিবীতে অর্থের বিনিময়ে অনেক কিছু করা যায়। এমনকি বলেই ফেলতে হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে অত্যন্ত উচ্চ পয়ায়ের কর্তা ব্যক্তি তার পদ হারিয়েছেন। কারণ অন্য দেশের কিছু রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি পয়সার বিনিময়ে সমর্থন করতে গিয়ে। তার মানে এ কাজগুলো অব্যাহতভাবে চলছে বলে এ ঘটনাগুলো চলছে। এখানে এ প্রভাবটা অনেকখানি আছে।

গুঞ্জন আছে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে অভিযোগ করেছে ঢাকা। বিষয়টি সত্য কিনা— জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, না, এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউপিআর’র সভায় অংশ নেবে বাংলাদেশ। সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হবে।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শুধু একটি ছাড়া মানবাধিকারের সকল ধারায় অনুস্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই সর্বোচ্চ সংখ্যক ধারায় অনুস্বাক্ষর করেছে। মোট তিন বার ইউপিআর’র সভায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। আর প্রতিটি সভা হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়। আমরা এটা প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি যে, নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকারই মানবাধিকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। তবে মানবাধিকারের সকল ধারা আমরা মেনে নিলেও সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের জন্য মৃত্যুদণ্ড বিলোপ ও এলজিবিটি ইস্যুকে আমরা গ্রহণ করিনি।

 

উপরে