একতরফা প্রহসনের নির্বাচন জনগণ মানবে না -প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়ামেে জ্যৈষ্ঠ সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, সরকারের একতরফা প্রহসনের নিবৃাচন দেশবাসী মানবে না। একতরফা পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে সরকার। প্রিন্সিপাল মাদানী বলেন, এই কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রহসনমূলক একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে। বিরোধী দলকে দমনের নামে জুলুম নির্যাতন, দমন-পীড়ন করে নাগরিক জীবনকে যন্ত্রণাময় করে তুলেছে।
আজ শনিবার বিকেলে পল্টনস্থ কার্যালয়ে দেশের চলমান সঙ্কটজনক রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম প্রমূখ।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কায় পড়েছে দেশের অর্থনীতি। ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে পোশাকশিল্পে। এই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সরকার যে নির্বাচনের আয়োজন করেছে, তা নিজের দলের লোকদের মধ্যে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিভিন্ন এলাকার ইজারা নেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। ইউনুছ আহমাদ বলেন, বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় বলা যায় আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশা করা চরম বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি আরও বলেন, সরকারের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনের নামে জাতির সাথে তামাশা করছে। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আজীবন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পুনরায় ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠছে। সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে।
সংগঠনের সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করায় শফকত হোসেন চাটগামী ও মাওলানা ওসমান গণীকে অব্যাহতি : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নীতি-আদর্শ পরিপন্থি এবং কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে একতরফা পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর চট্টগ্রাম দক্ষিণের সাবেক সভাপতি মাওলানা শফকত হোসেন চাটগামী ও ইসলামী যুব আন্দোলন কক্সবাজার জেলার সাবেক সভাপতি মাওলানা ওসমান গণীকে সংগঠনের সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি সংগঠনের নীতিমালা ও শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের দায়ে তাদের কেন তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এজন্য ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এই ৭ দিনের মধ্যে তারণ দর্শানো না হলে বহিস্কারাদেশ কার্যকর হবে।গতকাল শুক্রবার আন্দোলনের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই এ সিদ্ধান্ত প্রদান করেন।
গতকাল শুক্রবার আন্দোলনের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই এ সিদ্ধান্ত প্রদান করেন।