বঙ্গবন্ধুকন্যা যা করেন, বাংলাদেশের স্বার্থেই করেন- কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। বঙ্গবন্ধুকন্যা যা করেন, বাংলাদেশের স্বার্থেই করেন। স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে তিনি কারো সঙ্গেই বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হন না।
শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সাইকেল র্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা উত্তর সিটির (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের উদ্যোগে এ র্যালির আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা প্রতিদিনই ভারত বিরোধিতার নামে আন্দোলনের ইস্যু খোঁজার চেষ্টা করছে, তারা আবারও ভুল পথে হাঁটছে। সেই আইয়ুব খানের সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যে আওয়ামী লীগকে ভারতের বন্ধু বলে সেবাদাস বানানোর চক্রান্ত চলেছে, সেই আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। আজ যে অর্জন, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি- সবই কিন্তু স্বাধীনতার পিতার হাতে, মুক্তি কন্যার হাতে। পিতার হাতে স্বাধীনতা, কন্যার হাতে মুক্তি।
বিএনপিসহ বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিদেশে আমাদের প্রভু নেই, আপনাদের প্রভু আছে। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে। ভারত আমাদের একাত্তরের পরীক্ষিত বন্ধু। আপনারা তো হৃদয়ে-চেতনায় স্বাধীনতা ধারণ করেন না। কাজেই একাত্তরের চেতনাও ধারণ করেন না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বিএনপি বা বিরোধী দলের কর্মসূচির পাল্টাপাল্টি কোনো কর্মসূচি দিতে যাচ্ছি না। আমাদের কর্মসূচি আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান বছরব্যাপী সারা দেশে চলবে।
এ সময় তিনি তরুণ সমাজকে আওয়ামী লীগে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ দেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেওয়া প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ। এ দেশের উন্নয়ন-অর্জন আওয়ামী লীগের হাতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তির সংগ্রাম চলছে। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বেকার তরুণদের কর্মসংস্থানের যে অঙ্গীকার, তা সেটা আমরা পূরণ করব। দেশের তরুণ সমাজকে আওয়ামী লীগ আলোর পথে নিয়ে যাবে।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচিসহ অনেকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাইকেল র্যালি শুরু হয়। র্যালিটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে খেজুর বাগান হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হয়। এতে সাইক্লিস্টদের পাশাপাশি নেতারাও অংশ নেন।