‘ম্যাচ পাতানো চক্রের ডেরা ভারতে’

ফিক্সিং নিয়ে আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট। উমর আকমল নিষিদ্ধ হওয়ার পর এ নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন দেশটির সাবেকরা। তবে আকিব জাভেদের মন্তব্য ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের কোনোভাবেই ভালো লাগার কথা না।
ম্যাচ পাতানোকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করতে চায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। দেশটির সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ মিঁয়াদাদ তো এই দোষে দুষ্টদের ফাঁসি দেওয়ার পক্ষে। সাবেক পেসার আকিব জাভেদ অবশ্য সে রকম কিছু বলেননি। তিনি ফিক্সিংয়ের ডেরা দেখিয়ে দিয়েছেন। আর সেটি নাকি ভারত!
করাচিতে সংবাদমাধ্যমকে পাকিস্তানের সাবেক এ পেসার বলেন, 'আইপিএল নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে (এর আগে)। আমি মনে করি ম্যাচ পাতানো চক্রের ডেরা ভারতে।'
পাকিস্তানের হয়ে ২২ টেস্ট ও ১৬৩ ওয়ানডে খেলেছেন আকিব। ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি না দিয়ে যাঁরা মুখ খুলেছে পাকিস্তান ক্রিকেটে তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। ওয়ানডেতে ১৮২ উইকেট নেওয়া আকিব এ নিয়ে বলেন, 'বাজিকরদের বিপক্ষে মুখ খুলে তারা নিজেদের ক্যারিয়ারেই ক্ষতি করেছে।'
পিসিবি যে বাজিকরদের প্রশ্রয় দেয় সে কথা ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন আকিব। এ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিয়েছেন ৪৭ বছর বয়সী সাবেক এ পেসার। 'আমার ক্যারিয়ার দ্রুতই শেষ হয়ে গেছে। কারণ আমি বাজিকরদের বিপক্ষে মুখ খুলেছিলাম। তারা আমাকে টুকরো টুকরো করে ফেলে রাখার হুমকি দিয়েছিল। বাজিকরদের মুখ খুললে ক্যারিয়ারের একটা নির্দিষ্ট পথ পর্যন্ত যেতে পারবেন। এ জন্যই আমি পাকিস্তানের প্রধান কোচ হতে পারিনি' বেসরকারি চ্যানেলকে বলেন আকিব।
তাঁর মতে, ম্যাচ পাতাতে চার-পাঁচজন খেলোয়াড়ের বেশি দরকার হয় না। এ জন্য ৯০ দশকে ম্যাচ পাতানো কঠিন কোনো কাজ ছিল না। ম্যাচ পাতানোর শেকড় অনেক গভীর প্রোথিত বলেও মনে করেন আকিব, 'এই চক্রের শেকড় অনেক গভীর। একবার ঢুকলে ফেরা যায় না। অনেক ক্রিকেটার শাস্তি পেয়েছে কিন্তু বাজিকরদের কেউ শাস্তি পায়নি। দুই পক্ষেরই শাস্তি হওয়া উচিত।'
লাহোর কালান্দার্স কোচের দায়িত্বে থাকা আকিব স্পট ফিক্সিংয়ের সাজা খেটে মোহাম্মদ আমিরের ফেরা নিয়েও খুশি নন। তাঁর মতে, 'এসব বিষয় ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িতদের উৎসাহ দেয়।'
সূত্র : প্রথম আলো