ব্যাটিংয়ে নামলে অন্যরকম ভয় পান রোহিত
ওয়ানডে ক্রিকেটে যার নামের পাশে ২৯টি সেঞ্চুরি, এর তিনটি আবার ডাবল, যিনি নামলেই মাঠে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটান, রানের নহর বইয়ে দেন, তার কি কোন ভয় ডর আছে? অতিবড় সমালোচকও মানতে চাইবেন না। তাকে মাঠে দেখে মনেই হয় না ভেতরে কোন ভয়ডর আছে।
উইকেটে যান, একটু গুছিয়ে উঠতে সামান্য সময় নেন। তারপর শুরু হয় স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। যেখানে ভয়ডরের বালাই থাকে না। প্রতিপক্ষ বোলার যেই হোক না কেন, রোহিত শর্মার ব্যাট তাদের শাসন করে, তার ব্যাট হয়ে যায় খোলা তরবারি।
তবে কি তার ভয় নেই? রোহিত শর্মার অভিধানে কি নার্ভাসনেস শব্দটি নেই? তিনি কি কখনও ব্যাটিংয়ে নেমে ভয় পান না বা পাননি? শুক্রবার তামিম ইকবালের ফেসবুক লাইভে সে প্রশ্ন উঠল। তামিম জানতে চাইলেন, আচ্ছা, রোহিত ভাই তুমি কি নার্ভাস হও না? তোমাকে কি কখনও ভয়ডর গ্রাস করে না? দেখে তো তা মনে হয় না।
বিনয়ী রোহিত শর্মা অবলীলায় বলে ফেললেন, ‘কেন করবে না? আমিও ভয় পাই। আমারও ভয় লাগে। অতি অবশ্যই ভীত হই।’ ভয়ের প্রসঙ্গে ক্রিকেটের বাইরে গিয়ে জীবনের অন্য শাখা প্রশাখার উদাহরণ টেনে রোহিত বলেন, ‘শুধু ক্রিকেট খেলার ব্যাটিংয়ের সময় কেন, জীবনের সব ক্ষেত্রেই নার্ভাসনেস আছে। ক্রিকেট খেলার সময় নার্ভাস হওয়ারই কথা। সেটা তোমার প্রথম ম্যাচই হোক কিংবা ৩০০ নম্বর খেলা, নার্ভাসনেস থাকেই। যে বলবে আমি নার্ভাস হই না, সে মিথ্যা বলবে।’
তবে রোহিতের ভয়ের ধরনটা ভিন্ন। সেটা প্রতিপক্ষ বোলিং, বোলার আর ফিল্ডিং নিয়ে নয়। তার কাছে রান করার তাড়াটাই একরকম ভয়, অন্যরকম চ্যালেঞ্জ। বোঝাতে চেয়েছেন, রান করার জন্য তাড়া থাকে ভেতরে। সেটাও একরকম চ্যালেঞ্জিং। যা থেকে অন্যরকম নার্ভাসনেস তৈরি হয়।
তাই মুখে এমন কথা, ‘আমার কাছে নার্ভাসনেস মানে উইকেটে গিয়ে রান করার তাড়া। আমার সব ম্যাচে ভাল খেলতে, রান করতে খুব ভাল লাগে। সেটার জন্য একরকম নার্ভাসনেস থাকে।’
কোনরকম ভনিতা না করে স্বীকার করেছেন ইনিংসের শুরুতে তিনি খানিকক্ষণ আড়ষ্ট থাকেন এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নার্ভাসনেস কাজ করে। তাই তো মুখে এ কথা, ‘যে ফরম্যাটেই খেলি না কেন, আমি শুরুতে ১০ ওভার নার্ভাস থাকি। তারপর সে নার্ভাসনেস সময়ের সঙ্গে কেটে যায়। উইকেটে বেশি সময় থাকলে ধীরে ধীরে নার্ভাসনেস কেটে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়।’