ঘরের মাঠে বায়ার্নের গোলবন্যা
নিন্দুক-সমালোচকরা বাঁকা ঠোটে প্রায়ই বলে থাকেন, জার্মান বুন্দেসলিগার নাম বদলে জার্মান বায়ার্ন লিগা রেখে দিলেই তো হয়। তাদের এমন কথার ভিত্তিও আছে বটে। বুন্দেসলিগার গত সাত মৌসুমের টানা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন। টানা অষ্টম শিরোপারও খুব কাছে পৌঁছে গেছে এরই মধ্যে।
শুধু শিরোপার কারণেই নয়, প্রতিপক্ষ দলগুলোর তুলনায় বায়ার্নের শক্তি যেন অস্বাভাবিক বেশি। যার প্রমাণ মিলছে করোনা পরবর্তী ফুটবলেও। দর্শকশূন্য গ্যালারিতে ফুটবল শুরুর পরেও দাপট দেখিয়ে যাচ্ছে বায়ার্ন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুইবার প্রতিপক্ষের জালে ৫ গোল দিলো তারা।
গত শনিবার (২৩ মে) রাতে আইনট্রাখট ফ্রাংকফুটের বিপক্ষে বায়ার্নের জয় ছিল ৫-২ গোলে। এই শনিবার (৩০ মে) জিতল ৫-০ গোলে, এবার তাদের আক্রোশের শিকার ফরচুনা ডুসেলডর্ফ। এ দলের বিপক্ষে প্রথম সাক্ষাতে বায়ার্নের জয় ছিল ৪-০ গোলে।
নিজেদের ঘরের মাঠে ফরচুনার জালে গোলবন্যার দিনে প্রথম গোলটা অবশ্য বোনাস পেয়েছে বায়ার্ন। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে সার্জি জিনাব্রির ডি বক্সে বাড়ানো বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালেই প্রবেশ করান ম্যাথিয়াস ইয়োর্গেনসেন, এগিয়ে যায় বায়ার্ন।
এরপরেও আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে তারা। প্রথমার্ধেই করে ফেলে আরও দুই গোল। প্রথম গোলের ১৪ মিনিট পর ফরাসি তরুণ তারকা বেনজামিন পাভার্দ খুঁজে নেন জালের ঠিকানা। জশুয়া কিমিচের কর্ণার থেকে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়ান তিনি।
প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজার মিনিট দুয়েক আগে জাল কাঁপান রবার্তো লেওয়ানডস্কি। বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৫০ মিনিটের মাথায় নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোলটিও করেন এ পোলিশ স্ট্রাইকার। আরও ৪০ মিনিট হাতে রেখেই জাগান হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা।
সেটি হয়নি। তবে ৫২ মিনিটের সময় ফরচুনার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন আলফনসো ডেভিস। লিগে এখনও পর্যন্ত লেওয়ানডস্কির গোলসংখ্যা ২৮। তিনি ছাড়িয়ে গেছেন শীর্ষ পাঁচ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা সিরো ইম্মোবিলকে (২৭)।
বড় ব্যবধানের এ জয়ের পর বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান বেড়ে দশে দাঁড়িয়েছে বায়ার্নের। ২৯ ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ ৬৭ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলা বরুশিয়ার ঝুলিতে রয়েছে ৫৭ পয়েন্ট।