মুশফিক ভাই আমাদের সচেতন করেছেন : আফিফ

করোনায় ঘরের বাইরে নিজেরা দল বেঁধে অনুশীলন করতে না পারলেও প্রায়ই হেড কোচ ও অন্য কোচিং স্টাফদের সাথে ভার্চুয়াল ডিসকাশন করছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
সে সব গ্রুপ চ্যাটে কোচদের পাশাপাশি দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররাও নিজেদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করছেন সবার সাথে। যা দলের তরুণ ও নবীন ক্রিকেটারদের দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ করছে।
আশার খবর, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কনিষ্ট সদস্যরাও এই করোনাকালিন সময়ে দলগুতভাবে অনুশীলন করতে না পারলেও অন্যভাবে অনুপ্রাণিত। তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব তাই উচ্ছ্বসিত।
তার ধারণা ও উপলব্ধি, ‘মাঠে ক্রিকেট নেই, প্র্যাকটিস করাও যাচ্ছেনা। তবে বিভিন্ন সময়ে আমাদের সাথে হেড কোচ ও অন্য কোচিং স্টাফরা এবং সিনিয়র ক্রিকেটাররা যে সব কথা বার্তা আলাপ করছেন এবং নানারকম পর্যালোচনা হচ্ছে- তা খুব কার্যকর এবং আমাদের মত তরুণদের খুবই উপকারে আসবে।’
আফিফ হোসেন ধ্রুব জানিয়েছেন, করোনার মধ্যেও তারা নানা গ্রুপ চ্যাটে অনেক কিছু শিখেছেন। একজন ক্রিকেটারের লক্ষ্য স্থির করার ক্ষেত্রে কোচ ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের কথাবার্তা, আলোচনা-পর্যালোচনা ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ এবং পরামর্শগুলোও নাকি দারুণ কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।
এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘মুশফিক ভাইয়ের মত অভিজ্ঞরা আমাদের তরুণদের সামনে এগিয়ে যাবার এবং দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ সম্পর্কে সচেতন করে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি আমাদের কিভাবে এগিয়ে যেতে হবে এবং দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধটা আসলে কি? সে ধারণা ও পরামর্শও দিয়েছেন।’
এ ছাড়া ভিডিও এবং কম্পিউটার অ্যানালিস্ট গ্রুপ ডিসকাশনে ক্রিকেটারদের বিভিন্ন ম্যাচের ভিডিও ক্লিপ্স দেখিয়েছেন এবং সেগুলো নিয়ে অলোচনা-পর্যালোচনাও হয়েছে। আফিফ হোসেন ধ্রুব’র মতে, সেটাও খুব শিক্ষনীয় এবং সেখান থেকে তারা অনেক কিছু শিখেছেন। জেনেছেন। বুঝেছেন।
প্রসঙ্গতঃ করোনার কারনে কোনোভাবেই খোলা আকাশের নিচে দলবেঁধে অনুশীলন করা সম্ভব নয়। তাই বিসিবি ৩৮ জনের পুল করে দিয়েছিল। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা নিজ নিজ বাসায় ও উদ্যোগে যতটা সম্ভব জিমওয়ার্ক করছে। পাশাপাশি হালকা অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে।