আগামী কাল বাংলাদেশ পাকিস্তানের খেলা
বাংলাদেশ কি পারবে মুখ রক্ষা করতে?
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম হতাশই করেছে। তাদের সামনে আছে আর মাত্র ৩ ম্যাচ। এ তিনটি ম্যাচে জিতলে প্রথমবার বিশ্বকাপে ৪ জয়ের দেখা মিলবে। আর তিন খেলার অন্তত দুটিতে জিতলে ২০১১, ২০১৫ আর ২০১৯ সালের সমান তিন জয়ের দেখা মিলবে। তাতে অন্তত মুখ রক্ষা হবে।
এখন প্রশ্ন হলো, সাকিবের দল কি ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে খানিক স্বস্তি নিয়ে দেশে ফিরতে পারবে? তার প্রাথমিক আভাস মিলবে আগামীকাল ৩১ অক্টোবর। এদিন কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে পাকিস্তানের সাথে খেলা বাংলাদেশের।
ইতিহাস জানাচ্ছে, ১৯৯৯ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েই ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনশায়ারে পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল আমিনুল ইসলামের বাংলাদেশ। ২০ বছর পর সেই ইংল্যান্ডের লর্ডসেই আবার বিশ্বকাপের মাঠে দেখা হয় বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের। কিন্তু সেবার আর পারেনি টাইগাররা।
বাঁহাতি ওপেনার ইমাম উল হকের সেঞ্চুরি (১০০ বলে ১০০) আর অধিনায়ক বাবর আজমের (৯৮ বলে ৯৬) দারুণ উইলোবাজির সঙ্গে ফাস্টবোলার শাহিন শাহ আফ্রিদির ক্যারিয়ারসেরা (৩৫ রানে ৬ উইকেট) বোলিংয়ে ৯৪ রানের বড় জয় পায় পাকিস্তানিরা।
ক্রিকেট বিশ্বে পাকিস্তান বরাবরই বড় দল, পরাশক্তি। একবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, আরেকবারের রানার্সআপ। কিন্তু এবারের আসরে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি বাবর আজমের দল। ব্যর্থতার ঘানি টানছে।
শুরুতে নেদারল্যান্ডস আর শ্রীলঙ্কার সাথে জিতলেও তারপর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি আফগানিস্তানের কাছেও হেরেছে। টানা চার ম্যাচ হেরে রীতিমত টালমাটাল অবস্থা বাবর আজমের দলের।
ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং তিন বিভাগেই অনুজ্জ্বল। একটি শাখায়ও সেভাবে জ্বলে ওঠেনি এখনো। যে পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টকে ভাবা হয়েছিল সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও ধারালো; সেই শাহিন আফ্রিদি, হাসান আলি, হারিস রউফদের নিয়ে গড়া পাকিস্তানি পেস অ্যাটাক কিছুই করতে পারেনি।
ব্যাটিংয়ের অবস্থাও সুবিধার না। যার ওপর নির্ভর করে দলটির ব্যাটিং, সেই অধিনায়ক বাবর আজম (৫, ১০, ৫০, ১৮, ৭৪, ৫০= ২০৭ রান) এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচ জেতানো ইনিংসও উপহার দিতে পারেননি।
অপর ব্যাটিং স্তম্ভ মোহাম্মদ রিজওয়ান তুলনামূলক কম শক্তির নেদারল্যান্ডস আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ২ খেলায় ম্যাচ জেতানো ব্যাটিং করলেও (৬৮, ১৩১*, ৪৯, ৪৬, ৮, ৩১= ৩৩৩) পরের দিকে আর বড় ইনিংস খেলে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেননি।