শাকিবদের গুঁড়িয়ে অক্সিজেন পেলেন বাবররা, কী ভাবে খুলতে পারে পাকিস্তানের সেমিফাইনালের দরজা
চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে পরপর চার ম্যাচে হারের সম্মুখীন হয়েছিল পাকিস্তান দল। ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে যা ঘটেছিল প্রথম বার। পরপর চার হারে কঠিন হয়ে যায় পাকিস্তান দলের সেমিফাইনালের পথ। সেই আশা বাঁচিয়ে রাখতে তাদেরকে জিততেই হত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এমন মরণ বাঁচন ম্যাচে বাবররা ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশের। ম্যাচে বাবররা শুধু জেতেনইনি, বড় ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এতে পাকিস্তান তাদের খারাপ রানরেটও অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছে। বলা যায়, পয়া ইডেন বাবরদের সেমিফাইনালের যাওয়ার লড়াইয়ে এই জয় অক্সিজেন জুগিয়েছে। আসুন বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি, এখনও কী কী শর্তে সেমিফাইনালে যাওয়ার পথ খুলে যেতে পারে বাবর বাহিনীর কাছে।
তবে প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো যে, এই পথ মোটেও মসৃণ নয়। নিজেদের ম্যাচগুলো তো বড় ব্যবধানে বাবরদের জিততেই হবে, পাশাপাশি তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যান্য ম্যাচগুলোর দিকেও। অঙ্কের বিচারে বাবরদের এখনও সেমিফাইনালের আশা রয়েছে ঠিকই। তবে কাজটা যথেষ্ট কঠিন তা একবাক্যে স্বীকার করে নেবেন অতি বড় পাক সমর্থকও। পাকিস্তানের আর দু'টি ম্যাচ বাকি রয়েছে- একটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবং অপরটি রয়েছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। দু'টি ম্যাচেই তাদের জিততে হবে। এই দুই ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ১০। শুধু জিতলেই হবে না, জিততে হবে বড় ব্যবধানে। কারণ নেট রানরেটও বড় একটা ফ্যাক্টর হতে পারে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে।
নিজেদের ম্যাচে জেতার পাশাপাশি তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে আফগানিস্তানের ম্যাচের দিকেও। অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে হারতে হবে আফগানিস্তানকে। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও যেন টম লাথামের নিউজিল্যান্ড হেরে যায়। এখানেই শেষ নয় বাবরদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে ভারতেরও। পাকিস্তান ক্রিকেট ভক্তদের প্রার্থনা করতে হবে যাতে, নেদারল্যান্ডস এবং শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেয় ভারত। আর এই সব সমীকরণ মিললেই, তবেই বাবরটা সেমিফাইনালে যাওয়ার অঙ্কটা মিলতে পারে। নিদেনপক্ষে চতুর্থ দল তো বটেই, এমন কী পয়েন্টের বিচারে তৃতীয় দল হিসাবেও সেমিফাইনালে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাবরদের ভাগ্যের শিকে ছিড়তে পারে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা