Main Logo
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৫:৩৮

ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

রাজবাড়ী জেলার সদর থানা এলাকা থেকে রাজবাড়ী জেলার কালুখালী থানার চাঞ্চল্যকর ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রী অপহরণ করে ধর্ষণ মামলার একমাত্র  আসামী ওহিদ মন্ডল(২০)'কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। 

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৩ ডিসেম্বর  আনুমানিক রাত ৯ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ী জেলার সদর থানাধীন উদয়পুর, ভবানীপুর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে রাজবাড়ী জেলার কালুখালী থানার মামলা নং-০৮,তারিখ-২২/১১/২০২৩ ইং, ধারা- ৭/৯(১)/৩০, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩); অপহরণ করতঃ ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় পলাতক প্রধান আসামী ধর্ষক ওহিদ মন্ডল (২০), পিতা-টিটু মন্ডল, সাং-বাস্তেখোলা, থানা-কালুখালী, জেলা-রাজবাড়ী’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছে। 

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী ওহিদ ভিকটিমের (১৫) প্রতিবেশী। ভিকটিম স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ভিকটিম স্কুলে যাওয়া আসার পথে আসামী তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো এবং  কু-প্রস্তাব দিত। ভিকটিম বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে আসামী ওহিদ ভিকটিমকে তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫/১০/২০২৩ইং তারিখ সকাল অনুমান ০৮:০০ ঘটিকায় ভিকটিম প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে উক্ত স্কুলের পেছনে একটি রাস্তার পাশে পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা আসামী ওহিদ ভিকটিমের পথরোধ করে এবং ভিকটিমের মুখে রুমাল দিয়ে অজ্ঞান করে মোটরসাইকেল যোগে অপহরণ করে আসামী ওহিদ তার খালার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ০৯ দিন আটকে রেখে ভিকটিমকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। এসময় ভিকটিমের পরিবার আসামীর বাড়িতে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারে চেষ্টা করে কিন্তু ভিকটিমকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। এরই মধ্যে আসামি ওহিদ তার খালার বাসা থেকে তার মামার বাড়িতে ভিকটিমকে নিয়ে যায় এবং সেখানে আরো ০৬ দিন আটকে রেখে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। অতঃপর গত ০৯/১১/২৩ ইং তারিখে আসামী ওহিদ ভিকটিমকে তার বাড়িতে ফেলে রেখে চলে আসে। এ সংক্রান্তে বিজ্ঞ কোর্টের আদেশে রাজবাড়ী জেলার কালুখালী থানায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে একটি অপহরণ করে ধর্ষণ মামলা রুজু করেন। মামলা রুজুর পর হতেই আসামী ওহিদ আত্মগোপনে চলে যায়।

 

উপরে