Main Logo
আপডেট : ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪ ০৯:৩৪

আজকের গল্প

রোবট

ফরিদা বেগম

 রোবট
ফরিদা বেগম
   চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র হাসান । খুব শান্ত আর লাজুক । পড়াশোনা ছাড়া আর কিছুতে সে নেই । হাসানদের বাড়িটা একতলা । পাশেই ওর সহপাঠী রকিবদের দোতলা বাড়ি । রকিবের বাবা ইঞ্জিনিয়র। আমরিকায় চাকুরি করেন ।  
সে দিনটি ছিল শুক্রবার। কলেজ বন্ধ । হাসান বিকেলে বারান্দায় বসে চা খাচ্ছিল । হঠাৎ রকিবদের বারান্দায় সুন্দর একটি মেয়ে ওর চোখে পড়লো। বয়স পনের থেকে বিশের মধ্যে হতে পারে। হাসান মেয়েটিকে দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে । এতো সুন্দরও মানুষ হয় !  হাসান ভাবে মেয়েটি কে ?  রকিবের বাবা কদিন হয় দেশে ফিরেছেন । হয়তো কোনো আত্মীয় বেড়াতে এসেছে । মেয়েটি চট করে সরে যায় । 
এরপর প্রায়ই সে মেয়েটিকে বারান্দায় দেখে। এটা সেটা করে সরে পড়ে । মেয়েটিকে ওর কেমন যেনো ভালো লেগে যায় !  আজকাল হাসানের পড়ার টেবিলের চেয়ে বারান্দায় বসে থাকতেই বেশি ভালো লাগে ! 
কদিন পর কলেজে যাওয়ার পথে হাসান রকিবকে জিজ্ঞেস করে 
-তোদের বাসায় একটি নতুন মুখ দেখছি , কে রে ? 
রকিব বুঝতে পারে হাসান কার কথা বলছে । মনে মনে হাসে ! 
-ও  সীনু, খুব ভালো মেয়ে । বিকেলে আমাদের বাসায় যাস ,  ওর সঙ্গে  দেখা হবে । 
হাসান এটাই চাচ্ছিল । তাই রকিবের আমন্ত্রণ পেয়ে খুশিই হয় । হাসানের আজ ক্লাসে কিছুতেই মন বসে  না । কখন যে ক্লাস শেষ হবে আর রকিবদের  বাসায় যাবে !  
বাসায় ফিরে কোনোমতে চারটা খেয়ে হাসান রকিবদের বাসায় চলে যায় । রকিব হাসানকে নিয়ে ড্রইং রুমে বসে । রকিব ওর বাবা আমেরিকা থেকে কার জন্য কী এনেছেন ,আবার কখন ফিরে যাবেন এসব নানা কথা বলতে থাকে । হাসানের কিছুই শুনতে ভালো লাগছে না। খুব বিরক্তি লাগে। রকিবটা যে কী !  দুনিয়ার গল্প জুড়ে দিয়েছে ! ওর  মনের কথাটা কেন যে বোঝে না !  অবশেষে সেই  কাঙ্ক্ষিত সীনু ট্রেতে করে  নাস্তা নিয়ে এলো ! 
হাসান নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারে না ,  সীনু !  এ যে   রোবট !  
 
        
উপরে